খেলাধুলায় ঐতিহ্যবাহী এ জনপদ। গ্রামীণ খেলাধুলা; যেমন¾হাডুডু, দাড়িয়াবান্ধা, ছি-সাত্তা, গোল্লাছুট, চেঙ্গুপেন্টি, ছাগলদাড়ি, আটকোটা, ইডুনগাইন, বোলপাইতা, নৌকাবাইচ, গুড্ডি, লাঠি খেলা ইত্যাদির সাথে সাথে ফুটবল, ভলিবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, হ্যান্ডবল, দৌড়-ঝাঁপ-সাঁতার আজও অক্ষুন্ন রয়েছে। সে যুগে খান বাহাদুর খৈমুদ্দিন চৌধুরী মেমোরিয়াল শীল্ড, স্বাধীনতার পরে কাশেম গোল্ড কাপ এ অঞ্চলের খেলাধুলায় প্রাণ-চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। অসংখ্য খেলোয়াড়ের ক্রীড়া-নৈপুণ্যে ভরপুর এ অঞ্চল। সেই সতীশ পার্ক ও হাইস্কুলের মাঠ হারিয়ে গেছে বটে কিন্তু গওহর পার্ক মাঠ ও কুড়িগ্রাম ষ্টেডিয়াম আজও বিদ্যমান।
এ জেলার রয়েছে প্রাচীন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। এ অঞ্চলে এখনও অনুষ্ঠিত হয় চিলমারীর অষ্টমীর মেলা, সিঁন্দুরমতির মেলা, মাদাইখালের মেলা, মাসানকুড়ার মেলা, দশহরার মেলা, চেংরার মেলা, সিদ্ধেশ্বরীর মেলা, কালীর মেলা, শিবের মেলা, গাজীর মেলা - কত যে মেলা তার ইয়ত্তা নেই। এই মেলাগুলো মানুষের শুধু বিকি-কিনির আড়তই নয় বরং মানুষের মানসিক প্রশান্তির খোরাকও বটে। এ জনপদে গড়ে উঠেছে অনেক নাট্যমন্দির। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম ন্যাশনাল থিয়েটার হল, বীণাপানি নাট্যমন্দির, উলিপুর নাট্যমন্দির, ভিতরবন্দ নাট্যমন্দির, পাঙ্গা নাট্যমন্দির ছিল প্রসিদ্ধ। পরবর্তী সময়ে শিল্পকলা হল, পৌরসভা হল, টাউন হল-এর নাম উল্লেখ্য।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস