গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার |
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় |
জেলা পরিষদ আইন, ২০০০ |
(২০০০ সনের ১৯নং আইন) |
বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় ৬ই জুলাই, ২০০০ তারিখে প্রকাশিত। |
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ |
ঢাকা, ৬ই জুলাই, ২০০০/২২শে আষাঢ়, ১৪০৭ |
সংসদ কর্তৃক গৃহীত নিম্নলিখিত আইনটি ৬ই জুলাই, ২০০০ (২২শে আষাঢ়, ১৪০৭) তারিখে রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ |
করিয়াছে এবং এতদ্বারা এই আইনটি সর্বসাধারণের অবগতির জন্য প্রকাশ করা যাইতেছেঃ- |
২০০০ সনের ১৯নং আইন |
জেলা পরিষদ সংক্রামন আইন রহিত করিয়া সংশোধনীসহ উহা পুনঃ প্রণয়নের উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন |
যেহেতু জেলা পরিষদ সংক্রামন আইন রহিত করিয়া সংশোধনীসহ উহা পুনঃ প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; |
সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ- |
১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রবর্তন ও প্রয়োগ।- (১) এই আইন জেলা পরিষদ আইন, ২০০০ নামে অভিহিত হইবে। |
(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে ইহা বলবৎ হইবে। |
(৩) ইহা খাগড়াছড়ি পার্বত্যজেলা, রাঙ্গামাটি পার্বত্যজেলা ও বান্দরবান পার্বত্য জেলাসহঞ্ঝহ ব্যতীত বাংলাদেশের অন্য |
সকল জেলায় প্রযোজ্য হইবে। |
২। |
সংজ্ঞা। - বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে - |
(ক) |
অস্থায়ী চেয়ারম্যান অর্থ ধারা ১৩ এর বিধান অনুসারে নির্বাচিত অস্থায়ী চেয়ারম্যান; |
(খ) |
ওয়ার্ড অর্থ মহিলা সদস্যসহ কোন সদস্য নির্বাচনের জন্য ধারা ১৬ অনুসারে সীমা নির্ধারিত এলাকা; |
(গ) |
চেয়ারম্যান অর্থ পরিষদের চেয়ারম্যান; |
(ঘ) |
নির্ধারিত অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত; |
(ঙ) |
পরিষদ অর্থ এই আইনের বিধান অনুযায়ী গঠিত জেলা পরিষদ; |
(চ) |
প্রবিধান অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান; |
(ছ) |
বিধি অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; |
(জ) |
মহিলা সদস্য অর্থ ধারা ৪(১)(গ) অনুসারে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত পরিষদের সদস্য; |
(ঝ) |
সদস্য অর্থ পরিষদের সদস্য, এবং চেয়ারম্যান ও মহহিলা সদস্যও ইহার অমনর্ভূক্ত হইবেন; |
(ঞ) |
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, অর্থ সিটি কর্পোরেশন, পৌর সভা, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ। |
৩। পরিষদ স্থাপন। - (১) এই আইন বলবৎ হইবার পর, যত শীঘ্র সম্ভব, প্রত্যেক জেলায় এই আইনের বিধান |
অনুযায়ী একটি জেলা পরিষদ স্থাপিত হইবে এবং সংশিষ্টে জেলার নামে উহার জেলা পরিষদ পরিচিত হইবে। |
(২) প্রত্যেক জেলা পরিষদ একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর |
থাকিবে এবং এই আইন ও বিধি সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সমঙত্তি অর্জন করিবার অধিকারে রাখিবার |
ও হসনামনর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহার নামে ইহা মামলা দায়ের করিতে পারিবে বা ইহার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের |
করা যাইবে। |
৪। পরিষদ গঠন।- (১) নিম্নরূপ সদস্য সমন্বয়ে পরিষদ গঠিত হইবে, যথাঃ- |
(ক) একজন চেয়ারম্যান; |
(খ) |
পনের জন সদস্য; এবং |
(গ) |
সংরক্ষিত আসনের পাঁচজন মহিলা সদস্য। |
(২) চেয়ারম্যান, সদস্য ও মহিলা সদস্যগণ ধারা ১৭ এর অধীন গঠিত নির্বাচক মন্ডলীর ভোটে নির্বাচিত হইবেন। |
(৩) চেয়ারম্যান, |
সদস্য ও মহিলা সদস্যগণ নির্ধারিত পারিশ্রমিক, বিশেষ অধিকার, ছুটি ও অন্যান্য সুযোগ- |
সুবিধা ভোগ করিবেন। |
৫। পরিষদের মেয়াদ।- ধারা ৬১ এর বিধান সাপেক্ষে, পরিষদের মেয়াদ উহার প্রথম সভার তরিাখ হইতে পাঁচ |
বৎসর হইবেঃ |
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচিত নুতন পরিষদ উহার প্রথম সভায় মিলিত না হওয়া পর্যমন |
পরিষদ কার্য চালাইয়া যাইবে। |
৬। |
চেয়ারম্যান, সদস্য ও মহিলা সদস্যগণের যোগ্যতা ও অযোগ্যতা।- (১) উপ-ধারা (২) এর বিধান |
সাপেক্ষে, কোন ব্যক্তি চেয়ারম্যান, সদস্য ও মহিলা সদস্য নির্বাচিত হইবার যোগ্য হইবেন, যদি- |
(ক) |
তিনি বাংলাদেশের নাগরিক হন; |
(খ) |
তাঁহার বয়স পঁচিশ বৎসর পঞ্ঝর্ণ হয়; এবং |
(গ) |
তাঁহার নাম জাতীয় সংসদের নির্বাচনের জন্য প্রস্ত্ততকৃত আপাততঃ বলবৎ ভোটার তালিকার যে অংশ সংশিষ্টে |
জেলাভূক্ত অথবা, ক্ষেত্রমত, উক্ত জেলার সংশিষ্টে ওয়ার্ডভূক্ত এলাকা সংক্রামন সেই অংশের অমনর্ভূক্ত থাকে। |
(২) কোন ব্যক্তি চেয়ারম্যান, সদস্য ও মহিলা সদস্য নির্বাচিত হইবার এবং থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি - |
(ক) |
তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেন বা হারান; |
(খ) |
তাহাকে কোন আদালত অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষণা করে; |
(গ) |
তিনি দেউলিয়া ঘোষিত হইবার পর দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করিয়া থাকেন; |
(ঘ) |
তিনি নৈতিক ম্ফখলনজনিত কোন ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যসন হইয়া অন্যুন দুই বৎসরের কারাদন্ডে দন্ডিত |
হন এবং তাহার মুক্তি লাভের পর পাঁচ বৎসরকাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে; |
(ঙ) |
তিনি প্রজাতমেল্গর বা পরিষদের বা অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোন কর্মে লাভজনক সার্বক্ষণিক পদে অধিষ্ঠিত |
থাকেন; |
(চ) |
তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য বা অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বা সদস্য হন বা থাকেন; |
(ছ) |
তিনি পরিষদের কোন কাজ সমঙাদনের বা মালামাল সরবরাহের জন্য ঠিকাদার হন বা হইবার জন্য নিযুক্ত |
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হন বা পরিষদের কোন বিষয়ে তাঁহার কোন প্রকার আর্থিক স্বার্থ থাকে বা তিনি |
সরকার কর্তৃক নিযুক্ত অত্যাবশ্যক কোন দ্রব্যের দোকানদার হন; |
(জ) |
তিনি একইসঙ্গে চেয়ারম্যান, সদস্য ও মহিলা সদস্যের দুই বা ততোধিক পদে প্রার্থী হন; |
(ঝ) |
তাঁহার নিকট কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে গৃহীত কোন ঋণ মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় অনাদায়ী থাকে। |
ব্যাখ্যা।- এই উপধারার উদ্দেশ্য পুরণকল্পে - |
(ক) |
" |
ব্যাংক অর্থ |
" |
ব্যাংক কোমঙানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর ধারা ২ (ড)তে সংজ্ঞায়িত |
ব্যাংক কোমঙানী; |
(খ) |
" |
আর্থিক প্রতিষ্ঠান অর্থ |
" |
আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ধারা ২(খ) তে |
সংজ্ঞায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান; |
৭। |
চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের শপথ। - (১) চেয়ারম্যান ও প্রত্যেক সদস্য তাঁহার কার্যভার গ্রহণের পঞ্ঝর্বে |
নিম্নলিখিত ফরমে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কোন ব্যক্তির সম্মুখে শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা করিবেন এবং শপথপত্রে বা |
ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরদান করিবেন, যথাঃ- |
আমি (নাম) ................................................................................ |
পিতা বা স্বামী .............................................................................. |
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান/সদস্য/মহিল সদস্য নির্বাচিত হইয়া সশ্রদ্ধচিত্তে শপথ বা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করিতেছি যে, আমি |
আইন অনুযায়ী এবং সততা, নিষ্ঠা ও বিশ্বসনতার সহিত আমার পদের কর্তব্য পালন করিব। আমি বাংলাদেশের প্রতি |
অকৃত্রিম বিশ্বাস ও আনুগত্য পোষণ করিব। |
(২) চেয়ারম্যান বা সদস্য হিসাবে নির্বাচিত ব্যক্তিগণের নাম সরকারী গেজেটে প্রকাশিত হইবার ত্রিশ দিনের মধ্যে |
চেয়ারম্যানসহ সকল সদস্যের শপথ গ্রহণ বা ঘোষণার জন্য সরকার বা তৎকর্তৃক নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা |
গ্রহণ করিবেন। |
৮। সমঙত্তি সমঙর্কিত ঘোষণা। - চেয়ারম্যান এবং প্রত্যেক সদস্য তাঁহার দায়িত্বভার গ্রহণের পঞ্ঝর্বে তাঁহার এবং তাঁহার |
পরিবারের যে কোন সদস্যের স্বত্ব, দখল বা স্বার্থ আছে এই প্রকার যাবতীয় স্থাবর এবং অস্থাবর সমঙত্তির একটি লিখিত বিবরণ |
সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে তৎকর্তৃক নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করিবেন। |
ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পঞ্ঝরণকল্পে পরিবারের সদস্য বলিতে চেয়ারম্যান বা সংশিষ্টে সদস্যের সল্গী বা স্বামী এবং |
তাঁহার সহিত বসবাসকারী এবং তাঁহার উপর সমঙুর্ণভাব নির্ভরশীল পুত্র, কন্যা,পিতা, মাতা, ভ্রাতা ও ভগ্নিকে বুঝাইবে। |
৯। চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের পদত্যাগ।- (১) সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে কোন চেয়ারম্যান এবং |
চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষণযুক্ত পত্রযোগে কোন সদস্য স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পরিবেন। |
(২) পদত্যাগপত্র গৃহীত হইবার তারিখ ইহতে পদত্যাগ কার্যকর হইবে এবং পদত্যাগকারীর পদ শঞ্ঝন্য হইবে। |
১০। চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের অপসারণ। - (১) চেয়ারম্যান বা কোন সদস্য তাঁহার স্বীয় পদ হইতে অপসারণযোগ্য |
হইবেন, যদি তিনি - |
(ক) |
যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতিরেকে পরিষদের পর পর তিনটি সভায় অনুপস্খিত থাকেন; |
(খ) |
পরিষদের বা রাষ্ট্রের হানিকর কোন কাজে জড়িত থাকেন; |
(গ) |
দঞ্ঝর্নীতি বা অসদাচরণ বা নৈতিক ম্ফখলনজনতি কোন ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যসন হইয়া আদালত কর্তৃক |
দন্ডপ্রাপ্ত হন; |
(ঘ) |
তাহার দায়িত্ব পালন করিতে অস্বীকার করেন অথবা শারীরিক বা মানসিক অসামর্থ্যের কারণে তাঁহার দায়িত্ব |
পালনে অক্ষম হন; অথবা |
(ঙ) |
অসদাচরণ বা ক্ষমতার অপব্যবহারের দোষে দোষী হন অথবা পরিষদের কোন অর্থ বা সমঙত্তির কোন ক্ষতি |
সাধন বা উহার আত্মসাতের জন্য দায়ী হন। |
ব্যাখ্যা ।- এই উপ-ধারায় অসদাচরণ বলিতে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ইচ্ছকৃত কুশাসনও বুঝাইনবে। |
(২) চেয়ারম্যান বা কোন সদস্যকে উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কোন কারণে তাঁহার পদ হইতে অপসারণ করা যাইবে না, |
যদি বিধি অনুাযায়ী তদুদ্দেশ্যে আহুত পরিষদের বিশেষ সভায় মোট সদস্য সংখ্যার অন্যুন দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে তাহার অপসারণের |
পক্ষে প্রসনাব গৃহীত এবং প্রসনাবটি সমঙর্কে প্রয়োজনীয় তদমেনর পর উহা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত না হয়ঃ |
তবে শর্ত থাকে যে, উপ-ধারা (১) এর দফা (গ) এ বর্ণিত কারণে চেয়ারম্যান বা কোন সদস্যকে অপসারণের জন্য |
উক্তরূপ প্রসনাব গ্রহণের প্রয়োজন হইবে নাঃ |
আরও শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ সিদ্ধামন গ্রহণের পঞ্ঝর্বে চেয়ারম্যান বা উক্ত সদস্যকে প্রসনাবিত সিদ্ধামেনর বিরুদ্ধে কারণ |
দর্শাইবার জন্য যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দান করিতে হইবে। |
(৩) উপ-ধারা (২) অনুযায়ী গৃহীত প্রসনাব সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হইলে অনুমোদনের তারিখে চেয়ারম্যান বা উক্ত |
সদস্য তাহার পদ হইতে অপসারিত হইয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন। |
(৪) উপ-ধারা (১) এর অধীন চেয়ারম্যান বা কোন সদস্য অপসারিত হইলে বিধি মোতাবেক নির্বাচনের মাধ্যমে শঞ্ঝন্যপদ |
পুরণ করা হইবে। |
(৫) এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারা অনুযায়ী অপসারিত কোন ব্যক্তি পরিষদের |
অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য চেয়ারম্যন বা সদস্য পদে নির্বাচিত হইবার যোগ্য হইবেন না। |
১১। |
চেয়ারম্যান বা সদস্যপদ শন্ঠন্য হওয়া।-- (১) চেয়ারম্যান বা কোন সদস্যের পদ শঞ্ঝন্য হইবে, যদি তিনি - |
(ক) |
তাঁহার নাম সরকারী গেজেটে প্রকাশিত হইবার তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে ধারা ৭ এ নির্ধারিত শপথ গ্রহণ |
বা ঘোষণা করিতে ব্যর্থ হনঃ |
তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ মেয়াদ অতিবাহিত হইবার পঞ্ঝর্বে সরকার বা তৎকর্তৃক নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ যথার্থ কারণে উক্ত |
মেয়াদ বর্ধিত করিতে পারিবে; |
(খ) |
ধারা ৬ এর অধীন তাঁহার পদে থাকিবার অযোগ্য হন; |
(গ) |
ধারা ৯ এর অধীন তাঁহার পদ ত্যাগ করেন; |
(ঘ) |
ধারা ১০ এর অধীন তাঁহার পদ হইতে অপসারিত হন; |
(ঙ) |
মৃত্যুবরণ করেন। |
(২) |
চেয়ারম্যান মবা কোন সদস্য পদ শঞ্ঝন্য হইলে সরকার অবিলম্বে উক্ত পদ শঞ্ঝন্য ঘোষণা করিয়া বিয়টি সরকারী |
গেজেটে প্রকাশ করিবে। |
১২। শন্ঠন্য পদ পন্ঠরণ। -- পরিষদের মেয়াদ শেষ হইবার তারিখের একশত আশি দিন বা তদপেক্ষা বেশী দিন পঞ্ঝর্বে |
চেয়ারম্যান বা কোন সদস্যের পদ শঞ্ঝন্য হইলে, পদটি শঞ্ঝন্য হইবার ষাট দিনের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে উক্ত শঞ্ঝন্য পদ পঞ্ঝরণ করিতে |
হইবে, এবং যিনি উক্ত পদে নির্বাচিত হইবেন তিনি পরিষদের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন। |
১৩। |
অস্থায়ী চেয়ারম্যানের প্যানেল।-- (১) পরিষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হইবার ত্রিশ দিনের মধ্যে পরিষদ |
উহার সদস্যগণের মধ্য হইতে অমনতঃ একজন মহিলাসহ তিনজ সদস্য সমন্বয়ে অস্থায়ী চেয়ারম্যানের একটি প্যানেল নির্বাচন |
করিবে। |
(২) চেয়ারম্যান পদ কোন কারণে শঞ্ঝন্য হইলে অথবা অনুপস্থিতি বা অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে চেয়ারম্যান তাঁহার |
দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে নতুন নিবাচিত চেয়ারম্যান তাঁহার পদে যোগদান না করা পর্যমন বা, ক্ষেত্রমত, চেয়ারম্যান কর্তৃক পুনরায় |
স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যমন, প্যানেলর্ভূক্ত সদস্যগণের মধ্যে যাহার নাম প্যানেলের শীর্ষে থাকিবে বা তাঁহার |
অনুপস্থিতিতে ক্রমানুসারে পরবর্তী সদস্য পরিষদের অস্থায়ী চেয়ারম্যানরূপে দায়িত্ব পালন করিবেন। |
১৪। ওয়ার্ড। -- (১) মহিলা সদস্য ব্যতিত অন্যান্য সদস্য নির্বাচনের জন্য যতজন সদস্য নির্বাচিত হইবেন |
প্রত্যেক জেলাকে ততটি ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হইবে; |
(২) মহিলা সদস্য নির্বাচনের জন্য যতজন মহিল সদস্য নির্বাচিত হইবেন প্রত্যেক জেলাকে ততটি ওয়ার্ডে বিভক্ত করা |
হইবে। |
১৫। |
সীমা নির্ধারণ কর্মকর্তা নিয়োগ।-- (১) সরকার প্রজাতমেল্গর কর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিগণের মধ্য হইতে |
একজন সীমা নির্ধারণ কর্মকর্তা এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক সহকারী সীমা নির্ধারণ কর্মকর্তা নিয়োগ করিতে পারিবে। |
(২) সহকারী সীমা নির্ধারণ কর্মকর্তা সীমা নির্ধারণ কর্মকর্তাকে তাঁহার কার্য সমঙাদনে সহায়তা করিবেন এবং সীমা |
নির্ধারণ কর্মকর্তার নিয়মল্গণাধীন সীমা নির্ধারণ কর্মকর্তার কার্যাবলীও সমঙাদন করিতে পারিবেন। |
১৬। ওয়ার্ডের সীমা নির্ধারণ।- (১) ওয়ার্ডসমঞ্ঝহের সীমা নির্মারণের ক্ষেত্রে এলাকার অখন্ডতা এবং যতদুর সম্ভব, |
নির্বাচকমন্ডলীর সদস্য সংখ্যার বিন্যাসের প্রতি লক্ষ্য রাখিতে হইবে। |
(২) সীমা নির্ধারণ কর্মকতা ওয়ার্ডসমুহের সীমা নির্ধারণকল্পে প্রয়োজনীয় তদমন অনুষ্ঠান করিতে এবং সকল সংশিষ্টে নথিপত্র |
পরীক্ষা কততে এবং এতদ্সংক্রামন বিষয়ে প্রাপ্ত যাবতীয় অভিযোগ বিবেচনা করিতে পারিবেন; এবং জেলার কোন এলাকা কোন |
ওয়ার্ডের অমনর্ভূক্ত হইবে তাহা উলেখে করিয়া বিধি অনুযায়ী তিনি একটি প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করিবেন এবং তৎসহ নির্ধারিত |
সময়ের মধ্যে তৎসমঙর্কে আপত্তি ও পরামর্শ দাখিল করিবার আহবান জানাইয়া একটি নোটিশও প্রকাশ করিবেন। |
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রাপ্ত কোন আপত্তি বা পরামর্শ বিধি অনুযায়ী নিসঙত্তি করা হইবে। |
(৪) সীমা নির্ধারণ কর্মকর্তা তৎকর্তৃক গৃহীত আপত্তি বা পরামর্শের ভিত্তিতে বা কোন ত্রুটি বা বিচ্যুতি দুরীকরণের |
প্রয়োজনে, উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রকাশিত প্রাথমিক তালিকায় প্রয়োজনীয় সংশোধন বা পবিরর্তন করিতে পারিবেন। |
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন কৃত সংশোধন বা পরিবর্তনের পর সীমা নির্ধারণ কর্মকর্তা প্রত্যেক ওয়ার্ডের অমনর্ভূক্ত |
এলাকাসমঞ্ঝহ উলেখে করিয়া বিধি অনুযায়ী ওয়ার্ডসমঞ্ঝহের একটি চূড়ামন তালিকা প্রকাশ করিবেন। |
১৭। নির্বাচক মন্ডলী ও ভোটার তালিকা।-- (১) প্রত্যেঋ জলার অমনর্ভূক্ত সিটি কর্পোরেশন, যদি থাকে, এর মেয়ার ও |
কমিশনারগণ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার চেয়ারম্যান ও কমিশনারগণ এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও |
সদস্যগণ সমন্বয়ে উক্ত জেলার পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচক মন্ডলী গঠিত হইবে। |
(২) প্রত্যেক ওয়ার্ডের জন্য নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রণীত একটি ভোটার তালিকা থাকিবে। |
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্বাচক মন্ডলীর সদস্য নহেন এইরূপ কোন ব্যক্তি ভোটার তালিকাভূক্ত হওয়ার যোগ্য |
হইবেন না। |
(৪) এই ধারার অন্যান্য বিধান সত্বেও, ভোটার তালিকাভূক্ত কোন ব্যক্তি পরিষদের নির্বাচনে ভোট দানে পঞ্ঝর্বে যদি নির্বাচক |
মন্ডলীর সদস্য হইবার যোগ্যতা হারান তাহা হইলে তিনি উক্ত নির্বাচনে ভোট দান করিতে পারিবেন না বা উক্ত নির্বাচনের জন্য |
ভোটার বলিয়া গণ্য ইহবেন না। |
১৮। ভোটাধিকার ।-- কোন ব্যক্তির নাম যে ওয়ার্ডের ভোটার তালিকায় আপাততঃ লিপিবদ্ধ থাকিবে তিনি সেই |
ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচনে এবং সেই ওয়ার্ড যে জেলার অমনর্ভূক্ত সেই জেলার পষিদের চেয়ারম্যান নির্বাচনে ভোট দানের অধিকারী |
ইহবেন। |
১৯। নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়।-- নিম্নবর্ণিত সময়ে চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে, যথাঃ- |
(ক) |
পরিষদ প্রথমবার গঠনের ক্ষেত্রে, সরকার সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা , যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই |
তারিখে; |
(খ) |
পরিষদের মেয়াদ শেষ হইবার ক্ষেত্রে, উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পঞ্ঝর্ববর্তী একশত আশি দিনের মধ্যে; |
(গ) |
পরিষদ ধারা ৬১ এর অধীন বাতিল হইবার ক্ষেত্রে, বাতিলাদেশ জারীর পরবর্তী একশত আশি দিনের মধ্যে। |
২০। নির্বাচন পরিচালনা।-- (১) সংবিধান অনুযায়ী গঠিত নির্বাচন কমিশন, অতঃপর নির্বাচন কমিশন বলিয়া উলিখখিত, |
এই আইন ও বিধি অনুযায়ী চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নির্বাচন অনুষ্ঠান পরিচালনা করিবে। |
(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্বাচনের জন্য বিধি প্রণয়ন করিবে এবং অনুরূপ |
বিধিতে নিম্নবর্ণিত সকল অথবা যে কোন বিষয়ে বিধান করা যাইবে, যথাঃ- |
(ক) |
নির্বাচন পরিচালনার উদ্দেশ্যে রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী |
প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসার নিয়োগ এবং তাহাদের ক্ষমতা ও দায়িত্ব; |
(খ) |
প্রার্থী মনোনয়ন, মনোনয়নের ক্ষেত্রে আপত্তি এবং মনোনয়ন বাছাই; |
(গ) |
প্রার্থীগণ কর্তৃক প্রদেয় জামানত এবং উক্ত জামাত ফেরতান বা বাজেয়াপ্তকরণ; |
(ঘ) |
প্রার্থী পদ প্রত্যাহার; |
(ঙ) |
প্রার্থীগণের এজেন্ট নিয়োগ; |
(চ) |
প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে নির্বাচন পদ্ধতি; |
(ছ) |
ভোট গ্রহণের তারিখ, সময় ও স্থান এবং নির্বাচন পরিচালনা সংক্রামন অন্যান্য বিষয়; |
(জ) ভোটদানের পদ্ধতি; |
(ঝ) |
ব্যালট পেপার এবং নির্বাচন সংক্রামন অন্যান্য কাগজপত্রের হেফাজত ও বিলিবন্টন; |
(ঞ) |
যে অবস্থায় ভোট গ্রহণ স্থগিত করা যায় এবং পুনরায় ভোট গ্রহণ করা যায়; |
(ট) নির্বাচন ব্যয়; |
(ঠ) |
নির্বাচনে দঞ্ঝর্নীতিমঞ্ঝলক বা অবৈধ কার্যকলাপ ও অন্যান্য নির্বাচন অপরাধ এবং উহার দন্ড; |
(ড) |
নির্বাচন বিরোধ, নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল ও নির্বাচন আপীল ট্রাইব্যুনাল গঠন, নির্বাচনী দরখাসন দায়ের, নির্বাচন |
বিরোধ নিসঙত্তির ব্যাপারে উক্ত ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা ও অনুসরণীয় পদ্ধতিসহ আনুষংগিক বিষয়াদি; এবং |
(ঢ) |
নির্বাচন সমঙর্কিত আনুষংগিক অন্যান্য বিষয়। |
(৩) উপ-ধারা (২) (ঠ) এর অধীন প্রণীত বিধিতে কারাদন্ড, অর্থদন্ড বা উভয়বিধ দন্ডের বিধান করা যাইবে, তবে |
কারাদন্ডের মেয়াদ সাত বৎসরের অধিক হইবে না। |
২১। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ।-- চেয়ারম্যান, সদস্য ও মহিল সদস্য হিসাবে নির্বাচিত সকল ব্যক্তির নাম |
নির্বাচনের পর, যতশীঘ্র সম্ভব, নির্বাচন কমিশন সরকারী গেজেটে প্রকাশ করিবে। |
২২। চেয়ারম্যান ও সদস্য কর্তৃক কার্যভার গ্রহণ।-- চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ সভায় প্রথম যে তারিখে যোগদান |
করিবেন সেই তারিখে তাহার স্বীয় পদের কার্যভার গ্রহণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে। |
২৩। পরিষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠান।-- ধারা ৭ এর অধীন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পরবর্তী ত্রিশ দিনের মধ্যে পরিষদের |
প্রথম সভা সরকার বা উহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি আহবান করিবেন। |
২৪। নির্বাচন বিরোধ, নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল ইত্যাদি।-- (১) এই আইনের অধীন কোন নির্বাচন বা নির্বাচনী কার্যক্রম |
সমঙর্কে নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল ব্যতীত কোন আদালত বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না। |
(২) এই আইনের অধীন নির্বাচন সমঙর্কিত বিরোধ নিসঙত্তির উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশন সাব-জজ পদমর্যাদার বিচার |
বিভাগীয় একজন কর্মকর্তা সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল এবং একজন জেলা জজ পদমর্যাদার বিচার বিভাগীয় |
কর্মকর্তা সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাচন আপীল ট্রাইব্যুনাল গঠন করিতে পারিবে। |
(৩) কোন নির্বাচনের প্রার্থী ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি সেই নির্বাচনের কোন বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন ও প্রতিকার প্রার্থনা |
করিয়া নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে দরখাসন করিতে পারিবেন না। |
২৫। নির্বাচনী দরখাসন্স বা আপীল বদলীকরণের ক্ষমতা।-- নির্বাচন কমিশন নিজ উদ্যোগে অথবা পক্ষগণের কোন |
এক পক্ষ কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে পেশকৃত আবেদনের প্রেক্ষিতে যে কোন পর্যায়ে একটি নির্বাচনী দরখাসন এক নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল হইতে |
অন্য নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে অথবা একটি আপীল ট্রাইব্যুনাল হইতে অপর একটি আপীল ট্রাইব্যুনালে বদলী করিতে পারিবে; এবং যে |
নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে বা আপীল ট্রাইব্যুনালে তাহা বদলী করা হইবে সেই নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল বা আপলী ট্রাইব্যুনাল উক্ত দরখাসন বা |
আপীল যে পর্যায়ে বদলী করা হইয়াছে সেই পর্যায় হইতে উহার বিচারকার্য চালাইয়া যাইবেঃ |
তবে শর্ত থাকে যে, নির্বাচনী দরখাসন যে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে বদলী করা হইয়াছে সেই নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল উপযুক্ত মনে |
করিলে ইতিপঞ্ঝর্বে পরীক্ষিত কোন সাক্ষী পুনরায় তলব বা পুনরায় পরীক্ষা করিতে পারিবে এবং অনরূপভাবে আপীল ট্রাইব্যুনালও এই |
ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে। |
২৬। বিধি অনুযায়ী নির্বাচনী দরখাসন্স, আপীল নিসঙত্তি ইত্যাদি।-- নির্বাচনী দরখাসেনর পক্ষ, নির্বাচনী দরখাসন ও |
নির্বাচন আপীল দায়েরের পদ্ধতি, নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল ও নির্বাচন আপীল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক নির্বাচন বিরোধ নিসঙত্তি ব্যাপারে |
অনুসরণীয় পদ্ধতি, উক্ত ট্রাইব্যুনালসমঞ্ঝহের এখতিয়ার ও ক্ষমতা, সংশিষ্টে পক্ষকে প্রদেয় প্রতিকার এবং আনুষঙ্গিক সকল বিষয় বিধি |
দ্বারা নির্ধারিত হইবে। |
২৭। পরিষদের কার্যাবলী।-- (১) পরিষদের কার্যাবলী দুই প্রকারের হইবে, আবশ্যিক ও ঐচ্ছিক। |
(২) |
প্রথম তফসিলের প্রথম অংশে উলেখখিত কার্যাবলী পরিষদের আবশ্যিক কার্যাবলী হইবে এবং পরিষদ ইহার |
তহবিলের সংগতি অনুযায়ী এই কার্যাবলী সমঙাদন করিবে। |
(৩) |
প্রথম তফসিলের দ্বিতীয় অংশে উলেখখিত কার্যাবলী পরিষদের ঐচ্ছিক কার্যাবলী হইবে এবং পরিষদ ইচ্ছা |
করিলে এই কার্যাবলী সমঙাদন করিতে পারিবে, তবে সরকার কর্তৃক নির্দেশিত হইলে পরিষদ এই কার্যাবলী সরকারের নির্দেশ |
মোতাবেক সমঙাদন করিবে। |
(৪) |
এই ধারার অধীন কার্যাবলী পরিষদ এই আইন এবং বিধির বিধান বা অনুরূপ বিধান না থাকিলে সরকার |
কর্তৃক সময় সময় পদত্ত নির্দেশ সাপেক্ষে, সমঙাদন করিবে। |
২৮। বাণিজ্যিক প্রকল্প।-- বিধি অনুযায়ী এবং সরকারের পঞ্ঝর্ব অনুমোদনক্রমে, পরিষদ যে কোন বাণিজ্যিক কার্যক্রম বা |
প্রকল্প গ্রহণ, বাসনবায়ন ও পরিচালনা করিতে পারিবে। |
২৯। সরকার ও পরিষদের কার্যাবলী হসন্সামন্সর ইত্যাদি।-- (১) এই আইনে অথবা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে |
যাহা কিছুই থাকুক না কে, সরকার সময় সময় তৎকর্তৃক নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে- |
(ক) |
জেলা পষিদ কর্তৃক পরিচালিত কোন প্রতিষ্ঠান বা কর্ম সরকারের ব্যবস্থাপনায় ও নিয়মল্গণে এবং |
(খ) |
সরকার কর্তৃক পরিচালিত কোন প্রতিষ্ঠান বা কর্ম জেলা পরিষদের ব্যবস্থাপনায় ও নিয়মল্গণে, |
হসনামনর করার নির্দেশ দিতে পারিবে। |
(২) হসনামনরিত বিষয়ে দায়িত্ব পালনরত কর্মকর্তাদের বার্ষিক কার্যক্রম প্রতিবেদন ( |
অহহঁধষ চবৎভড়ৎসধহপব |
জবঢ়ড়ৎঃ |
) চেয়ারম্যান কর্তৃক এবং তাঁহাদের বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন ( |
অহহঁধষ ঈড়হভরফবহঃরধষ জবঢ়ড়ৎঃ |
) স্ব-স্ব দপ্তরের |
উর্দ্ধতন কর্মকর্তা কর্তৃক লিখিত হইবে। |
৩০। পরিষদের উপদেষ্টা।-- গণপ্রজাতমল্গী বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদের অধীন নির্বাচিত কোন জেলার |
সংসদ-সদস্যগণ উক্ত জেলার পরিষদের উপদেষ্টা হইবেন এবং তাঁহারা পরিষদকে উহার কার্যাবলী সমঙাদনে পরামর্শদান করিতে |
পারিবেন। |
৩১। নির্বাহী ক্ষমতা।-- (১) এই আইনের অধীন কার্যাবলী যথাযথভাবে সমঙাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল কিছু |
করিবার ক্ষমতা পরিষদের থাকিবে। |
(২) এই আইন বা বিধিতে ভিন্নরূপ বিধান না থাকিলে পরিষদের নির্বাহী ক্ষমতা চেয়ারম্যানের উপর ন্যসন হইবে এবং |
এই আইন এবং বিধি অনুযায়ী চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রত্যক্ষভাবে অথবা তাঁহার নিকট হইতে ক্ষমতা প্রাপ্ত অন্য কোন ব্যক্তির মাধ্যমে |
উহা প্রযুক্ত হইবে। |
(৩) পরিষদের নির্বাহী বা অন্য কোন কার্য পরিষদের নামে গৃহীত হইয়াছে বলিয়া প্রকাশ করা হইবে এবং উহা বিধি দ্বারা |
নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রমাণীকৃত হইবে। |
৩২। কার্যাবলী নিসঙন্ন।-- (১) পরিষদের কার্যাবলী বিধি দ্বারা নির্ধারিত সীমার মধ্যে ও পদ্ধতিতে উহার বা উহার |
কমিটিসমঞ্ঝহের সভায় অথবা উহার চেয়ারম্যান, সদস্য, কর্মকর্তা বা কর্মচারী কর্তৃক নিসঙন্ন করা হইবে। |
(২) পরিষদের সকল সভায় চেয়ারম্যান এবং তাঁহার অনুপস্থিতিতে ধারা ১৩ এর বিধান অনুসারে নির্বাচিত অস্থায়ী |
চেয়ারম্যান সভাপতিত্ব করিবেন। |
(৩) পরিষদের কোন সদস্যপদ শঞ্ঝন্য রহিয়াছে বা উহার গঠনে কোন ত্রুটি রহিয়াছে কেবল এই কারণে কিংবা পরিষদের |
বৈঠকে উপস্থিত হইবার বা ভোট দানের বা অন্য কোন উপায়ে উহার কার্যধারায় অংশগ্রহণের অধিকার না থাকা সত্ত্বেও কোন ব্যক্তি |
অনুরূপ কার্য করিয়াছেন কেবল এই কারণে পরিষদের কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না। |
(৪) পরিষদের প্রত্যেক সভার কার্যবিবরণী একটি বহিতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে এবং ইহার একটি করিয়া অনুলিপি |
সভা অনুষ্ঠিত হইবার তারিখের চৌদ্দ দিনের মধ্যে সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে। |
৩৩। পরিষদের সভা।-- (১) প্রতি মাসে অমনতঃ একবার পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হইবে। |
(২) পরিষদের সভায় ধারা ২৯ অনুসারে পরিষদের নিকট হসনামনরিত প্রতিষ্ঠান বা কর্মের জেলা পর্যায়ের প্রধান |
কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকিতে পারিবেন এবং পরিষদের সাধারণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন, কিন্তু তাহাদের কোন |
ভোটাধিকার থাকিবে না। |
(৩) পরিষদের সকল সিদ্ধামন উহার সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটে গৃহীত হইবে। |
৩৪। কমিটি।-- (১) পরিষদ উহার কাজের সহায়তার জন্য প্রয়োজনবোধে চেয়ারম্যান বা সদস্য বা অন্য কোন ব্যক্তি |
সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কমিটি গঠন করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ কমিটির সদস্য সংখ্যা, দায়িত্ব ও কার্যধারা নির্ধারণ করিতে |
পারিবে। |
(২) |
পরিষদ নিম্নবর্ণিত বিষয়ে একটি করিয়া স্থায়ী কমিটি গঠন করিবে, যথাঃ- |
(ক) আইন শৃম্ফখলা; |
(খ) স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা, পরিবেশ, পানীয় জল ও স্যানিটেশন; |
(গ) কৃষি, সেচ, সমবায়, মৎস্য ও পশুপালন; |
(ঘ) শিক্ষা; |
(ঙ) সমাজকল্যাণ, মহিলা ও শিশু উন্নয়ন, যুব উন্নয়ন, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি; |
(চ) ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, এনজিও কার্যক্রম ও আত্ম কর্মসংস্থান; |
(ছ) যোগাযোগ ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন। |
(৩) পরিষদের একজন সদস্য স্থায়ী কমিটির সভাপতি হইবেন; |
তবে শর্ত থাকে যে, পরিষদের কোন সদস্য একাধিক স্থায়ী কমিটির সভাপতি হইবেন নাঃ |
আরও শর্ত থাকে যে, স্থায়ী কমিটিসমঞ্ঝহের অনঞ্ঝ্যন এক-তৃতীয়াংশের সভাপতি হইবে পরিষদের মহিলা সদস্য। |
৩৫। চুক্তি।-- (১) পরিষদ কর্তৃক বা উহার পক্ষে সমঙাদিত সকল চুক্তি - |
(ক) |
লিখিত হইতে হইবে এবং পরিষদের নামে সমঙাদিত হইয়াছে বলিয়া প্রকাশিত হইতে হইবে; এবং |
(খ) |
বিধি অনুসারে সমঙাদিত হইবে। |
(২) কোন চুক্তি সমঙাদনের অব্যবহিত পরে অনুষ্ঠিত পরিষদের সভায় চেয়ারম্যান উক্ত চুক্তি সমঙর্কে পরিষদকে অবহিত |
করিবেন। |
(৩) |
এই ধারা লম্ফঘনক্রমে সমঙাদিত কোন চুক্তির দায়-দায়িত্ব পরিষদের উপর বর্তাইবে না। |
৩৬। নির্মাণ কাজ।--- সরকার বিধি দ্বারা -- |
(ক) পরিষদ কর্তৃক সমঙাদিতব্য সকল নির্মাণ কাজের পরিকল্পনা এবং আনুমানিক ব্যয়ের হিসাব প্রণয়ন করিবার |
বিধান করিবে; |
(খ) |
উক্ত পরিকল্পনা ও ব্যয় কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এবং কি শর্তে প্রযুক্তিগত ও প্রশাসনিকভাবে অনুমোদিত হইবে |
উহার বিধান করিবে; |
(গ) |
উক্ত পরিকল্পনা ও ব্যয়ের হিসাব কাহার দ্বারা প্রণয়ন করা হইবে এবং উক্ত নির্মাণ কাজ কাহার দ্বারা সমঙাদন |
করা হইবে উহার বিধান করিবে। |
৩৭। নথিপত্র, প্রতিবেদন ইত্যাদি।-- পরিষদ -- |
(ক) উহার কার্যাবলীর নথি নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করিবে; |
(খ) নির্ধারিত বিষয়ের উপর সাময়িক প্রতিবেদন ও বিবরণী প্রণয়ন ও প্রকাশ করিবে; |
(গ) উহার কার্যাবলী সমঙর্কে তথ্য প্রকাশের জন্য প্রয়োজনীয় বা সরকার কর্তৃক সময় সময় নির্দেশিত অন্যান্য ব্যবস্থা |
গ্রহণ করিতে পারিবে। |
৩৮। জেলা পরিষদ সার্ভিস।-- (১) নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং শর্তাধীনে জেলা পরিষদ সার্ভিস গঠিত হইবে। |
(২) পরিষদের কোন কোন পদ উক্ত সার্ভিসের সদস্যদের দ্বারা পঞ্ঝরণ করা হইবে তাহা সরকার সময় সময় নির্ধারণ |
করিবে। |
৩৯। পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারী।-- (১) নির্ধারিত শর্তানুযায়ী সরকার প্রত্যেক পরিষদের জন্য সরকারের উপ- |
সচিব পদমর্যাদার একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, একজন সচিব এবং অন্যান্য কর্মকর্তা নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাঁহারা এই |
আইন দ্বারা বা আইনের অধীন নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করিবে। |
(২) পরিষদের কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সমঙাদনের নিমিত্ত পরিষদ প্রয়োজনবোধে নির্ধারিত শর্তানুযায়ী অন্যান্য কর্মচারী |
নিয়োগ করিতে পারিবে। |
(৩) এই আইন ও বিধির বিধানাবলী সাপেক্ষে, -- |
(ক) |
উপ-ধারা (১) এর অধীন নিযুক্ত কোন ব্যক্তিকে সরকার চাকুরী হইতে সাময়িক বরখাসন, বরখাসন, |
অপসারণ বা অন্য কোন প্রকার শাসিন প্রদান করিতে পারিবে; |
(খ) |
উপ-ধারা (২) এর অধীন নিযুক্ত কোন ব্যক্তিকে পরিষদ চাকুরী হইতে সাময়িক বরখাসন, বরখাসন, |
অপসারণ বা অন্য কোন প্রকার শাসিন প্রদান করিতে পারিবে। |
(৪) |
উপ-ধারা (১) এর অধীন নিযুক্ত কোন ব্যক্তিকে সরকার এক পরিষদ হইতে অন্য কোন পরিষদে বদলি |
করিতে পারিবে। |
৪০। ভবিষ্য তহবিল ইত্যাদি।-- পরিষদ, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, -- |
(ক) উহার কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের জন্য ভবিষ্য তহবিল গঠন করিতে পারিবে; |
(খ) উক্ত তহবিলে নির্ধারিত হারে চাঁদা প্রদান করিতে পারিবে এবং উহার কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণকে চাঁদা প্রদানের |
নির্দেশ দান করিতে পারিবে; |
(গ) উহার কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের অবসর গ্রহণের পর আনুতোষিক প্রদান করিতে পারিবে; |
(ঘ) উহার কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী তাহার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করিবার কারণে অসুস্থ বা আঘাতপ্রাপ্ত হইযা |
মৃত্যুবরণ করিলে, উক্ত কর্মকর্তা বা কর্মচারীর পরিবারকে বিশেষ আনুতোষিক প্রদান করিতে পারিবে; |
(ঙ) উহার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য সামাজিক বীমা প্রবর্তন করিতে পারিবে এবং উহাতে তাহাদিগকে চাঁদা |
প্রদানের নির্দেশ দান করিতে পারিবে; |
(চ) উহার কর্মকর্ত্য ও কর্মচারীদের জন্য বদান্য তহবিল গঠন করিতে পারিবে এবং উহা হইতে তাহাদিগকে দফা (ঘ) |
এর অধীন বিশেষ আনুতোষিকসহ অন্যান্য সাহায্য প্রদান করিতে পারিবে। |
ব্যাখ্যা।-- এই ধারার উদ্দেশ্যে পঞ্ঝরণকল্পে পরিবার বলিতে সংশিষ্টে কর্মকর্তা বা কর্মচারীর সল্গী বা স্বামী এবং তাহার উপর |
সমঙুর্ণভাবে নির্ভরশীল পুত্র, কন্যা, পিতা ও মাতাকে বুঝাইবে। |
৪১। চাকুরী বিধি।-- সরকার, বিধি দ্বারা, পরিষদের - |
(ক) কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকুরীর শর্তাবলী নির্ধারণ করিতে পারিবে; |
(খ) কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতনক্রম নির্ধারণ করিতে পারিবে; |
(গ) তৎকর্তৃক নিয়োগযোগ্য পদসমঞ্ঝহের একটি তফসিল নির্ধারণ করিতে পারিবে; |
(ঘ) সকল পদে নিয়োগের জন্য যোগ্যতা ও অন্যান্য নীতি নির্ধারণ করিতে পারিবে; |
(ঙ) কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শৃম্ফখলামঞ্ঝলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তদমেনর পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে এবং |
তাহাদের বিরদ্ধে শাসিন বিধান ও শাসিনর বিরুদ্ধে আপীলের বিধান করিতে পারিবে; এবং |
(চ) কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিধান করিতে পারিবে। |
৪২। পরিষদ তহবিল গঠন।-- (১) জেলা পরিষদ তহবিল নামে প্রত্যেক পরিষদের একটি তহবিল থাকিবে। |
(২) উক্ত তহবিলে নিম্নলিখিত অর্থ জমা হইবে, যথাঃ- |
(ক) |
এই আইন দ্বারা গঠিত পরিষদ যে জেলা পরিষদের উত্তরাধিকারী সেই জেলা পরিষদের তহবিলের উদ্বৃত্ত অর্থ; |
(খ) |
পরিষদ কর্তৃক ধার্যকৃত কর, রেইট, টোল, ফিস এবং অন্যান্য দাবী বাবদ প্রাপ্ত অর্থ; |
(গ) |
পরিষদের উপর ন্যসন এবং তৎকর্তৃক পরিচালিত সকল সমঙত্তি হইতে প্রাপ্ত আয় বা মুনাফা; |
(ঘ) |
সরকার বা অন্যান্য কর্তৃপক্ষের অনুদান; |
(ঙ) |
কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; |
(চ) |
পরিষদের উপর ন্যসন সকল ট্রাষ্ট হইতে প্রাপ্ত আয়; |
(ছ) |
পরিষদের অর্থ বিনিয়োগ হইতে মুনাফা; |
(জ) |
পরিষদ কর্তৃক প্রাপ্ত অন্য যে কোন অর্থ; |
(ঝ) |
সরকারের নির্দেশক্রমে পরিষদের উপর ন্যসন অন্যান্য আয়ের উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ। |
৪৩। পরিষদের তহবিল সংরক্ষণ, বিনিয়োগ ইত্যাদি।-- (১) পরিষদের তহবিলে জমাকৃত অর্থ কোন সরকারী |
ট্রেজারীতে বা সরকারী ট্রেজারীর কার্য পরিচালনাকারী কোন ব্যাংকে অথবা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোন প্রকারে রাখা হইবে। |
(২) |
পরিষদ নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহার তহবিলের কোন অংশ বিনিয়োগ করততে পারিবে। |
(৩) পরিষদ কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে আলাদা তহবিল গঠন করিতে পারিবে এবং সরকার কর্তৃক আদিষ্ট হইলে উক্তরূপ |
তহবিল গঠন করিবে, এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহা পরিচালনা করিবে। |
৪৪। পরিষদের তহবিলের প্রয়োগ।-- (১) পরিষদের তহবিলের অর্থ নিম্নলিখিত খাতসমঞ্ঝহ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যয় |
করা হইবে, যথাঃ- |
(ক) পরিষদের কর্মকর্ত ও কর্মচারীদের বেতন ও ভাতা প্রদান; |
(খ) এই আইনের অধীন পরিষদের তহবিলের উপর দয়যুক্ত ব্যয়; |
(গ) এই আইন বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইন দ্বারা ন্যসন পরিষদের দায়িত্ব সমঙাদন ও কর্তব্য পালনের জন্য |
ব্যয়; |
(ঘ) সরকারের পঞ্ঝর্বানুমোদনক্রমে পরিষদ কর্তৃক ঘোষিত উহার তহবিলের উপর দায়যুক্ত ব্যয়; |
(২) পরিষদের তহবিলের উপর দায়যুক্ত ব্যয় নিম্নরূপ হইবে, যথাঃ- |
(ক) পরিষদের চাকুরীতে নিয়োজিত কোন সরকারী কর্মচারীর জন্য দেয় অর্থ; |
(খ) জেলা পরিষদ সার্ভিস পরিচালনা, পরিষদের হিসাব নিরীক্ষণ বা সরকারের নির্দেশক্রমে অন্য কোন বিষয়ের জন্য |
দেয় অর্থ; |
(গ) কোন আদালত বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক পরিষদের বিরুদ্ধে প্রদত্ত কোন রায়, ডিক্রী বা রোয়েদাদ কার্যকর করিবার |
জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ; |
(ঘ) সরকার কর্তৃক দায়যুক্ত বলিয়া ঘোষিত অন্য যে কোন ব্যয়। |
(৩) পরিষদের তহবিলের উপর দায়যুক্ত কোন ব্যয়ের খাতে যদি কোন অর্থ অপরিশোধিত থাকে, তাহা হইলে যে |
ব্যক্তির হেফাজতে উক্ত তহবিল থাকিবে সেই ব্যক্তিকে সরকার, আদেশ দ্বারা উক্ত তহবিল হইতে, যতদুর সম্ভব, উক্ত অর্থ পরিশোধ |
করিবার নির্দেশ দান করিতে পারিবে। |
৪৫। বাজেট।-- (১) প্রতি অর্থ বৎসর শুরু হইবার পঞ্ঝর্বে পরিষদ উক্ত অর্থ বৎসরে উহার সম্ভাব্য আয় ও ব্যয় সম্বলিত |
বিবরণী, অতঃপর বাজেট বলিয়া উলেখিত, নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রণয়ন ও অনুমোদ |
নে করিবে এবং উহার একটি অনুলিপি সরকারের |
নিকট পেশ করিবে। |
(২) কোন অর্থ বৎসর শুরু হইবার পঞ্ঝর্বে কোন পরিষদ উহার বাজেট অনুমোদন করিতে ব্যর্থ হইলে সরকার উক্ত অর্থ |
বৎসরের জন্য উক্ত পরিষদের সম্ভাব্য আয়-ব্যয়ের একটি বিবরণী প্রস্ত্তত ও প্রত্যায়ন করিবে এবং এইরূপ প্রত্যায়ণকৃত বিবরণী |
পরিষদের অনুমোদিত বাজেট বলিয়া গণ্য হইবে। |
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন বাজেটের অনুলিপি প্রাপ্তির ত্রিশ দিনের মম্যে সরকার, আদেশ দ্বারা, উক্ত বাজেট |
সংশোধন করিতে পারিবে এবং অনুরূপ সংশোধিত বাজেট পরিষদের অনুমোদিত বাজেট বলিয়া গণ্য হইবে। |
(৪) কোন অর্থ বৎসর শেষ হইবার পঞ্ঝর্বে যে কোন সময় উক্ত অর্থ বৎসরের জন্য, প্রয়োজন হইলে, সংশোধিত বাজেট |
প্রণয়ন ও অনুমোদন করা যাইবে এবং উক্ত সংশোধিত বাজেটের ক্ষেত্রে এই ধারার বিধানবলী, যতদুর সম্ভব, প্রযোজ্য হইবে। |
(৫) এই আইন বলবৎ হইবার পর গঠিত প্রথম পরিষদ যে অর্থ বৎসরে দায়িত্বভার গ্রহণ করিবে সেই অর্থ বৎসরের |
বাজেট উক্ত দায়িত্বভার গ্রহণের পরবর্তী অবশিষ্ট সময়ের জন্য প্রণীত হইবে এবং উক্ত বাজেটের ক্ষেত্রেও এই ধারার বিধানাবলী |
যতদুর সম্ভব প্রযোজ্য হইবে। |
৪৬। হিসাব।-- (১) প্রত্যেক পরিষদের আয় ও ব্যয়ের হিসাব নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও ফরমে রক্ষণ করা হইবে। |
(২) প্রতি অর্থ বৎসর শেষ হইবার পর পরিষদ উক্ত অর্থ বৎসরের আয় ও ব্যয়ের হিসাব প্রস্ত্তত করিবে এবং পরবর্তী অর্থ |
বৎসরের ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে উহা সরকারের নিকট প্রেরণ করিবে। |
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রস্ত্ততকৃত আয় ও ব্যয়ের হিসাবের একটি অনুলিপি জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য |
পরিষদ কার্যালয়ের কোন প্রকাশ্য স্থানে স্থাপন করিতে হইবে এবং উক্ত হিসাব সমঙর্কে জনসাধারণের আপত্তি বা পরামর্শ, যদি |
থাকে, পরিষদ বিবেচনা করিবে। |
৪৭। হিসাব নিরীক্ষা।-- (১) প্রত্যেক পরিষদের আয় ও ব্যয়ের হিসাব নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ দ্বারা |
নিরীক্ষিত হইবে। |
(২) নিরীক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ পরিষদের হিসাব সংক্রামন যাবতীয় বই ও অন্যান্য দলিল দেখিতে পারিবে এবং |
প্রয়োজনবোধে পরিষদের চেয়ারম্যান ও যে কোন সদস্য, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবে। |
(৩) হিসাব-নিরীক্ষার পর নিরীক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ সরকারের নিকট একটি নিরীক্ষা প্রতিবেদন পেশ করিবে এবং উহাতে, |
অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, নিম্নবর্ণিত বিষয়াদির উলেখে থাকিবে, যথা -- |
(ক) অর্থ আত্মসাৎ; |
(খ) পরিষদের তহবিলের লোকসান, অপচয় এবং অপপ্রয়োগ; |
(গ) হিসাবরক্ষণে অনিয়ম; |
(ঘ) নিরীক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের মতে যাহারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উক্ত আত্মসাৎ, লোকসান, অপচয়, অপ্রপ্রয়োগ ও |
অনিয়মের জন্য দায়ী তাহাদের নাম ও পরিচিত। |
৪৮। পরিষদের সমঙত্তি।-- (১) সরকার, বিধি দ্বারা, -- |
(ক) |
পরিষদের উপর ন্যসন বা উহার মালিকানাধীন সমঙত্তির ব্যবস্থাপনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য বিধ্যন করিতে |
পারিবে; |
(খ) উক্ত সমঙত্তির হসনামনর নিয়মল্গণ করিতে পারিবে। |
(২) পরিষদ -- |
(ক) |
উহার মালিকানাধীন বা উহার উপর বা উহার তত্ত্বাবধানে ন্যসন যে কোন সমঙত্তির ব্যবস্থাপনা, রক্ষণাবেক্ষণ, |
পরিদর্শন ও উন্নয়ন সাধান করিতে পারিবে; |
(খ) |
এই আইন বা বিধির উদ্দেশ্য পঞ্ঝরণকল্পে উক্ত সমঙত্তি কাজে লাগাইতে পারিবে; |
(গ) |
দান, বিক্রয়, বন্ধক, ইজারা, বিনিময়ের মাধ্যমে বা অন্য কোন পন্থায় যে কোন সমঙত্তি অর্জন বা হসনামনর করিতে |
পারিবে। |
৪৯। উন্নয়ন পরিকল্পনা।-- (১) পরিষদ উহার এখতিয়ারভূক্ত যে কোন বিষয়ে উহার তহবিলের সংগতি অনুযায়ী |
পাঁচসালা পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন মেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রস্ত্তত ও বাসনবায়ন করিতে পারিবে এবং এইরূপ পরিকল্পনা প্রণয়নের |
ক্ষেত্রে, পরিষদের এলাকাভূক্ত সিটি কর্পোরেশন, যদি থাকে, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ বা কোন ব্যক্তির পরামর্শ |
বিবেচনা করিতে পারিবে। |
(২) উক্ত পরিকল্পনায় নিম্নলিখিত বিষয়ে বিধান থাকিবে, যথাঃ- |
(ক) |
কি পদ্ধতিতে পরিকল্পনায় অর্থ যোগান হইবে এবং উহার তদারক ও বাসনবায়ন করা হইবে; |
(খ) |
কাহার দ্বারা পরিকল্পনা বাসনবায়িত হইবে; |
(গ) |
পরিকল্পনা সমঙর্কিত অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়। |
(৩) পরিষদ উহার প্রতিটি উন্নয়ন পরিকল্পনার একটি অনুলিপি উহা বাসনবায়নের পঞ্ঝর্বে সরকারের নিকট প্রেরণ করিবে |
এবং জনসাধারণের অবগতির জন্য পরিষদের বিবেচনায় যথাযথ পদ্ধতিতে প্রকাশ করিতে বা ক্ষেত্র বিশেষে তাহাদের মতামত |
পরামর্শ বিবেচনাক্রমে উক্ত পরিকল্পনা সমঙর্কে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে। |
৫০। পরিষদের নিকট চেয়ারম্যান ও অন্যান্যদের দায়।-- পরিষদের চেয়ারম্যান অথবা উহার কোন সদস্য, কর্মকর্তা |
বা কর্মচারী অথবা পরিষদের প্রশাসনের দায়িত্বপ্রপ্ত বা পরিষদের পক্ষে কর্মরত কোন ব্যক্তির প্রত্যক্ষ গাফিলতি বা অসদাচরণের |
কারণে পরিষদের কোন অর্থ বা সমঙদের লোকসান, অপচয় বা অপপ্রয়োগ হইলে উহার জন্য তিনি দায়ী থাকিবেন, এবং নির্ধারিত |
পদ্ধতিতে সরকার তাহার এই দায় দায়িত্ব নির্ধারণ করিবে এবং যে অর্থের জন্য তাহাকে দায়ী করা হইবে সেই অর্থ |
চঁনষরপ |
উবসধহফ জবপড়াবৎু অপঃ, ১৯১৩ (ইবহ. অপঃ ওওও ড়ভ ১৯১৩) |
এর অধীনে সরকারী দাবী |
(ঢ়ঁনষরপ ফবসধহফ) |
হিসাবে |
তাহার নিকট হইতে আদায় করা হইবে। |
৫১। পরিষদ কর্তৃক অরোপণীয় কর।-- পরিষদ, সরকারের পুর্বানুমোদনক্রমে, দ্বিতীয় তফসিলে উলিখখিত সকল অথবা |
যে কোন কর, রেইট, টোল এবং ফিস নির্ধারিত পদ্ধতিতে আরোপ করিতে পারিবে। |
৫২। কর সমঙর্কিত বিজ্ঞপ্তি ইত্যাদি।-- (১) পরিষদ কর্তৃক আরোপিত সকল কর, রেইট, টোল এবং ফিস নির্ধারিত |
পদ্ধতিতে বিজ্ঞপিত হইবে, এবং সরকার ভিন্নরূপ নির্দেশ না দিলে, উক্ত আরোপের বিষয়টি আরোপের পঞ্ঝর্বে প্রকাশ করিতে হইবে। |
(২) কোন কর, রেইট, টোল বা ফিস আরোপের বা উহার পরিবর্তনের কোন প্রসনাব অনুমোদিত হইলে |
অনুমোদনদানকারী কর্তৃপক্ষ যে তারিখ নির্ধারণ করিবেন সেই তারিখে উহা কার্যকর ইহবে। |
৫৩। নমুনা কর তফসিল।-- সরকার পরিষদের জন্য নমুনা কর-তফসিল প্রণয়ন করিতে পারিবে এবং অনুরূপ তফসিল |
প্রণীত হইলে পরিষদ উহার কর, রেইট, টোল বা ফিস আরোপের ক্ষেত্রে উক্ত তফসিল দ্বারা পরিচালিত হইবে। |
৫৪। কর সংক্রামন্স দায়।-- (১) কোন ব্যক্তি বা জিনিষপত্রের উপর কর, রেইট, টোল বা ফিস আরোপ করা যাইবে |
কিনা উহা নির্ধারণের প্রয়োজনে পরিষদ, নোটিশের মাধ্যমে, যে কোন ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করিতে বা দলিল পত্র, |
হিসাব বই বা জিনিষপত্র হাজির করিবার জন্য নির্দেশ দান করিতে পারিবে। |
(২) পরিষদের এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত যে কোন কর্মকর্তা, যথাযথ নোটিশ প্রদানের পর, কর আরোপযোগ্য কি না উহা |
যাচাইয়ের জন্য যে কোন ইমারত বা অংগনে প্রবেশ করিতে এবং যে কোন জিনিষপত্র পরিদর্শন করিতে পারিবেন। |
(৩) পরিষদের এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত যে কোন কর্মকর্তা, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, কোন জিনিষপত্রের উপর আরোপিত |
কোন কর বা টোল আদায়ের জন্য উহা বাজেয়াপ্ত ও হসনামনর করিতে পারিবেন। |
৫৫। কর আদায়।-- (১) এই আইনে ভিন্নরূপ বিধান না থাকিলে, পরিষদের সকল কর রেইট, টোল এবং ফিস |
নির্ধারিত ব্যক্তি কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে আদায় করা হইবে। |
(২) পরিষদের প্রাপ্য অনাদায়ী সকল কর, রেইট, টোল, ফিস এবং অন্যান্য অর্থ |
চঁনষরপ উবসধহফ জবপড়াবৎু |
অপঃ, ১৯১৩ (ইবহ. অপঃ ওওও ড়ভ ১৯১৩) |
এর অধীন সরকারী দাবী |
(ঢ়ঁনষরপ ফবসধহফ) |
হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে। |
(৩) উপ-ধারা(২) এর বিধান সত্ত্বেও সরকার পরিষদকে উহার প্রাপ্য সকল অনাদায়ী কর, রেইট, টোল, ফিস বা অন্য |
কোন অর্থ আদায় করিবার উদ্দেশ্যে সংশিষ্টে ব্যক্তির স্থাবর ও অস্থাবর সমঙত্তি ক্রোক এবং বিক্রয় করিবার ক্ষমতা প্রদান করিতে |
পারিবে। |
(৪) উপ-ধারা (৩) এ প্রদত্ত ক্ষমতা নির্ধারিত কর্মকর্তা কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রযুক্ত হইবে। |
৫৬। কর নির্ধারণের বিরুদ্ধে আপত্তি।-- নির্ধরিত কর্তৃপক্ষের নিকট এবং নির্ধারিত পদ্ধতি ও সময়ে পেশকৃত লিখিত |
দরখাসন ব্যতীত অন্য কোন প্রকারে এই আইনের অধীন ধার্য কোন কর, রেইট, টোল বা ফিস বা এতদ্সংক্রামন কোন সমঙত্তির |
মঞ্ঝল্যায়ন অথবা কোন ব্যক্তির উহা প্রদানের দায়িত্ব সমঙর্কে কোন আপত্তি উত্থাপন করা যাইবে না। |
৫৭। পরিষদের উপর তত্ত্বাবধান।-- এই আইনের উদ্দেশ্যের সহিত পরিষদের কার্যকলাপের সামঞ্জস্য সাধনের |
নিশ্চয়তা বিধানকল্পে সরকার পরিষদের উপর সাধারণ তত্ত্বাবধান ও নিয়মল্গণ ক্ষমতা প্রয়োগ করিবে। |
৫৮। পরিষদের কার্যাবলীর উপর নিয়মপ্টণ।-- (১) সরকার যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, পরিষদ কর্ত্রক বা |
পরিষদের পক্ষে কৃত বা প্রসনাবিত কোন কাজকর্ম আইনের সহিত সংগিতপঞ্ঝর্ণ নহে অথবা জনস্বার্থের পরিপন্থী, তাহা হইলে সরকার |
আদেশ দ্বারা -- |
(ক) পরিষদের কার্যক্রম বাতিল করিতে পারিবে; |
(খ) পরিষদ কর্তৃক গৃহীত কোন প্রসনাব অথবা প্রদত্ত কোন আদেশের বাসনবায়ন সাময়িকভাবে স্থগিত রাখিতে পারিবে; |
(গ) প্রসনাবিত কোন কাজ-কর্ম সমঙাদন নিষিদ্ধ করিতে পারিবে; |
(ঘ) পরিষদকে উক্ত আদেশে উলেখখিত কোন কাজ করিবার নির্দেশ দান করিতে পারিবে। |
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন আদেশ প্রদত্ত হইলে পরিষদ উক্ত আদেশ প্রাপ্তির ত্রিশ দিনের মম্যে উহা |
পঞ্ঝনর্বিবেচনার জন্য সরকারের নিকট আবেদন করিতে পারিবে। |
(৩) সরকার উক্ত আবেদন প্রাপ্তির ত্রিশ দিনের মধ্যে উক্ত আদেশ বহাল রাখিবে অথবা সংশোধন বা বাতিল করিবে। |
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন কোন ব্যবস্থা গৃহীত না হইলে উক্ত উপ-ধারায় নির্ধারিত মেয়াদামেন সংশিষ্টে আদেশ |
বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে। |
৫৯। পরিষদকে নির্দেশ প্রদান সংক্রামন্স সরকারের ক্ষমতা।-- (১) এই আইনের উদ্দেশ্য বাসনবায়নের লক্ষ্যে সরকার |
কোন পরিষদ বা উহার নিকট দায়ী কোন ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য |
আদেশ প্রদান করিতে পারিবে। |
(২) যথাযথ তদমেনর পর যদি সরকারের নিকট ইহা সমেনাষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, উপ-ধারা (১) এর অধীন |
প্রদত্ত আদেশ পালনে উক্ত পরিষদ, ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হইয়াছে, তাহা হইলে সরকার উক্ত আদেশ পালনের জন্য অন্য কোন |
ব্যককে নিয়োগ করিতে পারিবে এবং উক্ত আদেশ পালনার্থে যে ব্যয় হইবে তাহা পরিষদকে বহন করিবার জন্যও নির্দেশ দান করিতে |
পারিবে। |
(৩) যদি পরিষদ উক্ত ব্যয় বহন না করে তাহা হইলে যে ব্যক্তির হেফাজতে পরিষদের তহবিল থাকিবে তাঁহাকে উক্ত |
তহবিল হইতে উক্ত ব্যয়, যতদঞ্ঝর সম্ভব, বহন করিবার জন্য সরকার নির্দেশ দান করিতে পারিবে। |
৬০। পরিষদের বিষয়াবলী সমঙর্কে তদমন্স।-- (১) সরকার, স্বেচ্ছায় কোন ব্যক্তির আবেদনের ভিত্তিতে, পরিষদের |
বিষয়াবলী সাধারণভাবে অথবা তৎসংক্রামন কোন বিশেষ ব্যাপার সম্বন্ধে তদমন করিবার জন্য কোন কর্মকর্তাকে ক্ষমতা প্রদান করিতে |
পারিবে এবং উক্ত তদমেনর রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় প্রতিকারমঞ্ঝলক ব্যবস্থা গ্রহণে করিতে পারিবে। |
(২) উক্ত তদমনকারী কর্মকর্তা তদমেনর প্রয়োজনে সাক্ষ্য গ্রহণ এবং সাক্ষীর উপস্থিতি ও দলিল উপস্থাপন নিশ্চিতকরণের |
জন্যে |
ঈড়ফব ড়ভ ঈরারষ চৎড়পবফঁৎব, ১৯০৮ (ঠ ড়ভ ১৯০৮) |
এর অধীন এদ্সংক্রামন ষিয়ে দেওয়ানী আদালতের যে ক্ষমতা আছে |
সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করততে পারিবেন। |
(৩) সরকার উক্ত তদমেনর ব্যয় নির্ধারণ এবং উহা কে বহন করিবে তৎসমঙর্কে আদেশ প্রদান করিতে পারিবে। |
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন কোন অর্থ পরিষদ ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক প্রদেয় হইলে উহা |
চঁনষরপ |
উবসধহফ জবপড়াবৎু অপঃ, ১৯১৩ (ইবহ. অপঃ ওওও ড়ভ ১৯১৩) |
এর অধীন সরকারী দাবী |
(ঢ়ঁনষরপ ফবসধহফ) |
হিসাবে |
আদায়যোগ্য হইবে। |
৬১। পরিষদ বাতিলকরণ।-- (১) যদি প্রয়োজনীয় তদমেনর পর সরকার এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, কোন |
পরিষদ - |
(ক) উহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ অথবা ক্রমাগতভাবে উহার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হইতেছে, |
(খ) উহার প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালনে অসমর্থ; |
(গ) সাধারণতঃ এইরূপ কাজ করে যাহা জনস্বার্থ বিরোধী; |
(ঘ) অন্য কোনভাবে উহার ক্ষমতার সীমা লংঘন বা ক্ষমতার অপব্যবহার করিয়াছে বা করিতেছে, |
তাহা হইলে সরকার, সরকারী গেজেটে আদেশ দ্বারা উক্ত পরিষদ বাতিল করিতে পারিবেঃ |
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত আদেশ প্রদানের পঞ্ঝর্বে পরিষদকে উহার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর সুযোগ প্রদান করিতে হইবে। |
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন আদেশ প্রদত্ত হইলে পরিষদের,-- |
(ক) চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সদস্য তাঁহাদের পদে বাহল থাকিবেন না; |
(খ) যাবতীয় দায়িত্ব সরকার কর্তৃক নিয়োজিত কোন ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ পালন করিবে। |
৬২। প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। -- (১) স্থানীয় সরকার ও তৎসংক্রামন অন্যান্য বিষয়ে গবেষণার জন্য এবকং পরিষদের সদস্য |
ও কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের জন্য সরকার প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান স্থাপন করিতে পারিবে এবং বিধি দ্বারা- |
(ক) |
উক্তরূপ প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য বিধান করিতে পারিবে; |
(খ) |
পরিষদের সদস্য ও কর্মচারীদের বাধ্যতামঞ্ঝলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করিতে পারিবে; |
(গ) |
প্রশিক্ষণের জন্য পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করিতে পারিবে; |
(ঘ) |
পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য ও পরীক্ষায় কৃতকার্য ব্যক্তিদের মধ্যে ডিপেvামা এবং সনদপত্র প্রদানের বিধান করিতে |
পারিবে। |
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন স্থাপিত প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ব্যয়ভার সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হারে প্রত্যেক পরিষদকে |
বহন করিতে হইব। |
৬৩। যৌথ কমিটি।-- কোন পরিষদ অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহিত একত্রে উহাদের অভিন্ন স্বার্থ সংশিষ্টে কোন |
বিষয়ের জন্য যৌথ কমিটি গঠন করিতে পারিবে এবং অনুরূপ কমিটিতে উহার কোন ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবে। |
৬৪। পরিষদ ও অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ইত্যাদির মধ্যে বিরোধ।-- দুই বা ততোধিক পরিষদের মধ্যে অথবা |
পরিষদ এবং অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে কোন বিরোধ দেখা দিলে বিরোধীয় বিষয়টি নিষঙত্তির জন্য সরকারের নিকট প্রেরিত |
হইবে এবং এই ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধামন চূড়ামন হইবে। |
৬৫। অপরাধ।-- তৃতীয় তফসিলে বণিত কোন কার্য সমঙাদন বা, ক্ষেত্রমত, কার্য সমঙাদনে ব্যর্থতা এই আইনের অধীন |
দন্ডনীয় অপরাধ হইবে। |
৬৬। দন্ড। -- এই আইনের অধীন কোন অপরাধের জন্য কোন ব্যক্তিকে অনধিক পাঁচ হাজার টাকা পর্যমন অর্থ দন্ডে |
দন্ডিত করা যাইবে এবং উক্ত অপরাধ যদি অবিরাম ঘটিতে থাকে তাহা হইলে পরবর্তী প্রত্যেক দিনের জন্য উক্ত ব্যক্তিকে অতিরিক্ত |
অনধিক পাঁচ শত টাকা পর্যমন অর্থ দন্ডে দন্ডিত করা যাইবে। |
৬৭। অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ।-- চেয়ারম্যান বা পরিষদ হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির লিখিত অভিযোগ ব্যতীত |
কোন আদালত এই আইনের অধীন কোন অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিবে না। |
৬৮। অভিযোগ প্রত্যাহার। -- চেয়ারম্যান বা এতদুদ্দেশ্যে পরিষদ হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন |
অপরাধ সংক্রামন কোন অভিযোগ প্রত্যাহার করিতে পারিবেন। |
৬৯। অবৈধ অনুপ্রবেশ বা অবস্থান।-- (১) জনপথ ও সর্বসাধারণের ব্যবহার্য কোন স্থানে কোন ব্যক্তি কোন প্রকার |
অবৈধ অনুপ্রবেশ করিবেন না। |
ব্যাখ্যা।-- এই ধারার উদ্দেশ্য পুরণকল্পে, কোন ব্যক্তির অবৈধ অনুপ্রবেশ বলিতে তাহার নিয়মল্গণাধীন বা তাহার |
তত্বাবধানে রহিয়াছে এমন কোন ব্যক্তি বা জীব-জন্তুর অনুপ্রবেশ বা কোন বস্ত্ত বা কাঠামোর অবস্থানও অমনর্ভূক্ত হইবে। |
(২) পরিষদের নিয়মল্গণভূক্ত বা এখতিয়ারাধীন জনপথ বা স্থানে কোন ব্যক্তি অবৈধ অনুপ্রবেশ করিলে পরিষদ নোটিশ |
দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উক্ত ব্যক্তিকে তাহার অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করিবার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে এবং উক্ত সময়ের মধ্যে |
যদি তিনি এই নির্দেশ মান্য না করেন তাহা হইলে পরিষদ অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করিবার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে |
এবং উক্তরূপ ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী কোন প্রকার ক্ষতিগ্রসন হইলে তজ্জন্য তিনি কোন ক্ষতিপঞ্ঝরণ প্রাপ্য ইহবেন |
না। |
(৩) অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করিবার প্রয়োজনে গৃহীত ব্যবস্থার জন্য কোন ব্যয় হইলে তাহা উক্ত অনুপ্রবেশকারীর উপর |
এই আইনের অধীন আরোপিত কর বলিয়া গণ্য হইবে। |
৭০। আপীল।-- এই আইন বা কোন বিধি বা প্রবিধান অনুসারে পরিষদ বা উহার চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত কোন |
আদেশ দ্বারা কোন ব্যক্তি সংক্ষুদ্ধ হইলে তিনি উক্ত আদেশ প্রদানের ত্রিশ দিনের মধ্যে সরকারের নিকট উহার বিরুদ্ধে আপীল করিতে |
পারিবেন এবং এই আপীলের উপর সরকারের সিদ্ধামন চূড়ামন হইবে। |
৭১। পুলিশের দায়িত্ব।-- এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটিত হইলে সঙ্গে সঙ্গে তৎসংক্রামন তথা সংশিষ্টে |
পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবহিত করা এবং চেয়ারম্যান ও পরিষদের কর্মকর্তাগণকে আইনানুগ কর্তৃত্ব প্রয়োগে সহায়তা দান করা |
সকল পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্ব হইবে। |
৭২। স্থায়ী আদেশ।-- সরকার, সময় সময় জারীকৃত স্থায়ী আদেশ দ্বারা, -- |
(ক) |
আমনঃপরিষদ সমর্ঙ্ক এবং পরিষদের সঙ্গে অন্যান্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষেণ সমর্ঙ্ক নিরূপণ ও নিয়মল্গণ করিতে |
পারিবে; |
(খ) |
পরিষদ এবং সরকারী কর্তৃপক্ষের কার্যাবলীর মধ্যে কাজের সমন্বয়ের বিধান করিতে পারিবে; |
(গ) |
পরিষদকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিধান করিতে পারিবে; |
(ঘ) |
কোন পরিষদ কর্তৃক অন্য কোন পরিষদকে বা কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে আর্থিক সাহায্য প্রদানের বিধান |
করিতে পারিবে; |
(ঙ) |
এই আইনের উদ্দেশ্য পঞ্ঝরণকল্পে পরিষদ কর্তৃক অনুসরণীয় সাধারণ দিক নির্দেশনার বিধান করিতে পারিব। |
৭৩। বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা।-- (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পঞ্ঝরণকল্পে সরকার, সরাকরী গেজেটে বিজ্ঞপ্তি দ্বারা প্রণয়ন |
করিতে পারিবে। |
(২) বিশেষ করিয়া এবং উপরি-উক্ত ক্ষমতার সামগ্রিকতাকে ক্ষুন্ন না করিয়া, অনুরূপ বিধিতে নিম্নবর্ণিত সকল অথবা যে |
কোন বিষয়ে বিধান করা যাইবে, যথাঃ- |
(ক) |
পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের ক্ষমতা ও দায়িত্ব; |
(খ) |
পরিষদের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানাদি প্রকল্পের পরিচালনা এবং বাসনবায়ন পদ্ধতি; |
(গ) |
পরিষদের পক্ষে চুক্তি সমঙাদন করার বিধান; |
(ঘ) |
পরিষদের কার্যাদি নিসঙন্ন সংক্রামন বিধান; |
(ঙ) |
পরিষদ কর্তৃক যে সকল রেকর্ড, রিপোর্ট এবং রিটার্ণ রক্ষণাবেক্ষণ, প্রস্ত্তত বা প্রকাশ করা হইবে তাহা নির্ধারণ; |
(চ) |
পরিষদ সার্ভিস গঠন ও নিয়মল্গণ; |
(ছ) |
পরিষদের তহবিল ও বিশেষ তহবিলসমঞ্ঝহের পরিচালনা, নিয়মল্গণ ও তত্ত্বাবধান এবং উহাদের অর্থের বিনিয়োগ; |
(জ) |
বাজেট প্রণয়ন ও অনুমোদন এবং এতদ্সংক্রামন অন্যান্য বিষয়; |
(ঝ) |
হিসাব রক্ষণ এবং নিরীক্ষাণ; |
(ঞ) পরিষদের সমঙত্তির ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ ও হসনামনর সংক্রামন বিষয়; |
(ট) |
উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন, অনুমোদন ও বাসনবায়ন; |
(ঠ) |
পরিষদের অর্থের বা সমঙত্তির ক্ষতি, নষ্ট বা অপপ্রয়োগের জন্য পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং অন্য কোন |
ব্যক্তির দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করিাব পদ্ধতি; |
(ড) কর, রেইট, টোল এবং ফিস ধার্য, আদায় ও নিয়মল্গণ সমঙর্কিত যাবতীয় বিষয়; |
(ঢ) |
পরিষদের আদেশের বিরুদ্ধে আপীলের পদ্ধতি; |
(ণ) |
পরিষদ পরিদর্শনের পদ্ধতি এবং পরিদর্শকের ক্ষমতা; |
(ত) |
চেয়ারম্যান ও সদস্য অপসারণ সংক্রামন বিষয়াবলী; |
(থ) এই আইনের অধীন বিধি দ্বারা নির্ধারণ করিতে হইবে এইরূপ যে কোন বিষয়। |
৭৪। প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা।-- (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পঞ্ঝরণকল্পে পরিষদ, সরকারের পঞ্ঝর্বানুমোদনক্রমে, এই |
আইনের বা কোন বিধির বিধানের সহিত অসামঞ্জস্য না হয় এইরূপ প্রবিধ্যন প্রণয়ন করিতে পারিবে। |
(২) বিশেষ করিয়া এবং উপরি-উক্ত ক্ষমতার সামগ্রিকতা ক্ষুণ্ণ না করিয়া অনুরূপ প্রবিধানে নিম্নরূপ সকল অথবা যে |
কোন বিষয়ে প্রবিধান করা যাইবে, যথাঃ- |
(ক) পরিষদের কার্যাবলী পরিচালনা; |
(খ) পরিষদের সভায় কোরাম নির্ধারণ; |
(গ) পরিষদের সভায় প্রশ্ন উত্থাপন; |
(ঘ) পরিষদের তলবী সভা আহ্বান; |
(ঙ) পরিষদের সভার কার্যবিবরণী লিখন; |
(চ) পরিষদের সভায় গৃহীত প্রসনাবের বাসনবায়ন; |
(ছ) কমিটি গঠন এবং উহার কার্য পরিচালনা; |
(জ) সাধারণ সীল মোহরের হেফাজত ও ব্যবহার; |
(ঝ) পরিষদের কোন কর্মকর্তাকে চেয়ারম্যানের ক্ষমাত অর্পণ; |
(ঞ) পরিষদের অফিসের বিভাগ ও শাখা গঠন এবং উহাদের কাজের পরিধি নির্ধারণ; |
(ট) কার্যনির্বাহী সংক্রামন অন্যান্য বিষয়; |
(ঠ) গবাদিপশু ও অন্যান্য প্রাণীর বিক্রয় রেজিষ্ট্রিকরণ; |
(ড) এতিমখানা, বিধবা সদন এবং দরিদ্রদের ত্রাণ সমঙর্কিত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের রেজিষ্ট্রিকরণ, ব্যবস্থাপনা ও নিয়মল্গণ; |
(ঢ) জনসাধারণের ব্যবহার্য সমঙত্তির ব্যবস্থাপনা ও নিয়মল্গণ; |
(ণ) টীকাদান কর্মসঞ্ঝচী বাসনবায়ন; |
(ত) সংক্রামক ব্যাধির প্রতিরোধ ও নিয়মল্গণ; |
(থ) খাদ্যদ্রব্যের ভেজাল প্রতিরোধ; |
(দ) দুগ্ধ সরবরাহ নিয়মল্গণ; |
(ধ) আসনাবল নিয়মল্গণ; |
(ন) পরিষদের সমঙত্তিতে অবৈধ প্রবেশ নিয়মল্গণ; |
(প) সমাজের বা ব্যক্তির জন্য ক্ষতিকারক বা বিরক্তিকর কার্যকলাপ প্রতিরোধ; |
(ফ) বিপজ্জনক ও ক্ষতিকর ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়মল্গণ; |
(ব) জনসাধারণের ব্যবহার্য ফেরীর ব্যবস্থাপনা ও নিয়মল্গণ; |
(ভ) গবাদিপশুর খোয়াড়ের ব্যবস্থাপনা ও নিয়মল্গণ; |
(ম) ট্রাফিক নিয়মল্গণ; |
(য) মেলা, প্রদর্শনী, প্রতিযোগিতামঞ্ঝলক খেলাধুলা ও জনসমাবেশ অনুষ্ঠান ও নিয়মল্গণ; |
(র) বাধ্যতামঞ্ঝলক শিক্ষাদান কর্মসঞ্ঝচী বাসনবায়ন; |
(ল) ভিক্ষাবৃত্তি, কিশোর অপরাধ, পতিতাবৃত্তি ও অন্যান্য অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ; |
(শ) কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে পরিষদের লাইসেন্স প্রয়োগ হইবে এবং কি কি শর্তে উহা প্রদান করা হইবে তাহা নির্ধারণ; |
(ষ) এই আইনের অধীন প্রবিধ্যন দ্বারা নির্ধারণযোগ্য অন্য যে কোন বিষয়। |
(৩) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (২) এর দফা (ঠ) হইতে দফা (শ) (উভয় দফাসহ) এ উলেখখিত |
বিষয়ে কোন প্রবিধান পঞ্ঝর্ব-প্রকাশনা ব্যতীত প্রণয়ন করা যাইবে না। |
(৪) পরিষদের বিবেচনায় যে প্রকারে প্রকাশ করিলে কোন প্রবিধান সংশিষ্টে এলাকার জনসাধারণ ভালভাবে অবহিত |
হইতে পারিবে সেই প্রকারে প্রত্যেক প্রবিধানকে প্রকাশ করিতে হইবে। |
(৫) সরকার নমুনা প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে এবং এইরূপ কোন নমুনা প্রবিধান প্রণীত হইলে পরিষদ প্রবিধান |
প্রণয়নের ক্ষেত্রে উক্ত নমুনা অনুসরণ করিবে। |
৭৫। ক্ষমতা অর্পণ।-- সরকার এই আইনের অধীন উহার সকল অথবা যে কোন ক্ষমতা, সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তি |
দ্বারা, যে কোন ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে অর্পণ করিতে পারিবে। |
৭৬। পরিষদের পক্ষে ও বিরুদ্ধে মামলা।-- (১) পরিষদের বিরুদ্ধে বা পরিষদ সংক্রামন কোন কাজের জন্য উহার |
কোন সদস্য বা কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোন মামলা দাযে করিতে হইলে মামলা দায়ের করিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে মামলার |
কারণ এবং বাদীর নাম ও ঠিকানা উলেখে করিয়া একটি নোটিশ - |
(ক) পরিষদের ক্ষেত্রে, পরিষদের কার্যালয়ে প্রদান করিতে হইবে বা পৌছাইয়া দিতে হইবে; এবং |
(খ) অন্যান্য ক্ষেত্রে, সংশিষ্টে সদস্য, কর্মকর্তা বা কর্মচারীর নিকট ব্যক্তিগতভাবে বা তাঁহার অফিস বা বাসস্থানে প্রদান |
করিতে হইবে বা পৌছাইয়া দিতে হইবে। |
(২) উক্ত নোটিশ প্রদান বা পৌছানের পর ত্রিশ দিন অতিবাহিত না হওয়া পর্যমন কোন মামলা দায়ের করা যাইবে না |
এবং মামলার আরজীতে উক্ত নোটিশ প্রদান করা বা পৌছানো হইয়াছে কিনা তাহার উলেখে করিতে হইবে। |
৭৭। নোটিশ এবং উহা জারীকরণ।-- (১) এই আইন, বিধি বা প্রবিধান পালনের জন্য কোন কাজ করা বা করা |
হইতে বিরত থাকা যদি কোন ব্যক্তির কর্তব্য হয় তাহা হইলে কোন সময়ের মধ্যে উহা করিতে হইবে বা উহা করা হইতে বিরত |
থাকিতে হইবে তাহা উলেখে করিয়া তাঁহার উপর একটি নোটশ জারী করিতে হইবে। |
(২) এই আইনের অধীন প্রদেয় কোন নোটিশ গঠনগত ত্রুটির কারণে অবৈধ হইবে না। |
(৩) ভিন্নরূপ কোন বিধান না থাকিলে, এই আইনের অধীন প্রদেয় সকল নোটিশ উহার প্রাপককে হাতে হাতে প্রদান |
করিয়া অথবা তাঁহার নিকট ডাকযোগে প্রেরণ করিয়া বা তাঁহার বাসস্থান বা কর্মস্থলের কোন প্রকাশ্য স্থানে অাঁটিয়া দিয়া জারী করিতে |
হইবে। |
(৪) সর্বসাধারণের জন্য প্রদত্ত নোটিশ পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত কোন প্রকাশ্য স্থানে আঁটিয়া দিয়া জারী করা হইলে উহা |
যথাযথভাবে জারী হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে। |
৭৮। প্রকাশ্য রেকর্ড।-- এই আইনের অধীন প্রস্ত্ততকৃত এবং সংরক্ষিত যাবতীয় রেকর্ড এবং রেজিষ্টার, |
ঊারফবহপব |
অপঃ, ১৮৭২ (ও ড়ভ ১৮৭২) |
তে যে অর্থে ব্যবহ্নত হইয়াছে সেই অর্থে প্রকাশ্য রেকর্ড |
(ঢ়ঁনষরপ ফড়পঁসবহঃ) |
বলিয়া গণ্য হইবে |
এবং বিপরীতে প্রমাণিত না হইলে, উহা বিশুদ্ধ রেকর্ড বা রেজিষ্টার বলিয়া গণ্য হইবে। |
৭৯। জনসেবক ( |
ঢ়ঁনষরপ ংবৎাধহঃ |
)। |
-- পরিষদের চেয়ারম্যান, অন্যান্য সদস্য, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ এবং |
পরিষদের পক্ষে কাজ করিবার জন্য যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্যান্য ব্যক্তি |
চবহধষ ঈড়ফব ১৮৬০ (ঢখঠ ড়ভ ১৮৬০) |
এর |
ঝবপঃরড়হ ২১ |
এ যে অর্থে ব্যবহ্নত হইয়াছে সেই অর্থে জনসেবক ( |
ঢ়ঁনষরপ ংবৎাধহঃ |
) বলিয়া গণ্য হইবেন। |
৮০। সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্ম।-- এই আইন, বিধি বা প্রবিধান এর অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজের ফলে |
কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রসন হইলে বা তাঁহার ক্ষতিগ্রসন হইবার সম্ভাবনা থাকিলে তজ্জন্য সরকার, পরিষদ বা উহাদের নিকট হইতে |
ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা বা অন্য কোন আইনগত কার্যধারা গ্রহণ করা যাইবে না। |
৮১। নির্ধারিত পদ্ধতিতে কতিপয় বিষয়ের নিসঙত্তি।-- এই আইনে কোন কিছু করিবার জন্য বিধ্যনে থাকা সত্ত্বেও |
যদি উহা কোন কর্তৃপক্ষ বা কি পদ্ধতিতে করা হইবে তৎসমঙর্কে কোন বিধান না থাকে, তাহা হইলে উক্ত কাজ সরকার কর্তৃক সকারী |
গেজেটে প্রকাশিত আদেশ অনুসারে সমঙন্ন করা হইবে। |
৮২। প্রশাসক নিয়োগ।-- (১) এঐইন বা আপাতঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই |
আইনের বিধান অনুযায়ী জেলা পরিষদ গঠিত না হওয়া পর্যমন সরকার কর্তৃক নিযুক্ত একজন প্রশাসক জেলা পরিষদের কার্যাবলী |
সমঙাদন করিবেন। |
(২) এই ধারার অধীন নিযুক্ত প্রশাসককে সরকার যে কোন সময় কোন কারণ না দর্শাইয়া তাহার পদ ইহতে অপসারণ |
করিতে পারিবে। |
৮৩। রহিতকরণ ও হেফাত।-- (১) এই আইন বলবৎকরণের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় সরকার (জেলা পরিষদ) আইন, |
১৯৮৮ (১৯৮৮ সনের ২৯ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উলিখখিত, রহিত হইবে। |
(২) উক্ত আইন রহিত হইবার পর, -- |
(ক) |
এইে আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিষদ স্থাপিত না হওয়া |
পর্যমন উক্ত আইন রহিত হইবার অব্যবহিত পঞ্ঝর্বে যে পরিষদ, অতঃপর পঞ্ঝর্বতন জেলা পরিষদ বলিয়া |
উলেখখিত, বিদ্যমান ছিল উহা এই আইনের অধীন স্থাপিত পরিষদ, অতঃপর উত্তরাধীকারী জেলা |
পরিষদ বলিয়া উলেখখিত, বলিয়া গণ্য হইবে এবং তদনুসারে উহার কার্যাবলী পরিচালনা করিবে; |
(খ) |
উক্ত আইনের অধীন প্রণীত সকল বিধি, প্রবিধান ও বাই-ল, প্রদত্ত আদেশ, জারীকৃত সকল বিজ্ঞপ্তি |
বা নোটিশ এবং মঞ্জুরীকৃত সকল লাইসেন্স ও অনুমতি, এই আইনের বিধানাবলীর সহিত |
সামঞ্জস্যপঞ্ঝর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, রহিত ও সংশোধিত না হওয়া পর্যমন বলবৎ থাকিবে এবং এই আইনের |
অধীন প্রণীত, প্রদত্ত, জারীকৃত বা মঞ্জুরীকৃত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত সকল বাই-ল |
প্রবিধান বলিয়া গণ্য হইবে; |
(গ) |
পঞ্ঝর্বতন জেলা পরিষদের সকল সমঙদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব ও সুবিধা, সকল স্থাবর ও অস্থাবর |
সমঙত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, বিনিয়োগ এবং উক্ত সমঙত্তি সমর্ঙ্কীয় উহার যাবতীয় |
অধিকার বা উহাতে যাবতীয় স্বার্থ উহার উত্তরাধিকারী জেলা পরিষদের নিকট হসনামনরিত ও ন্যসন |
হইবে; |
(ঘ) |
পঞ্ঝর্বতন জেলা পরিষদের যে সকল ঋণ, দায় ও দায়িত্ব ছিল এবং উহার দ্বারা বা উহার সহিত যে |
সকল চুক্তি সমঙাদিত হইয়াছিল তাহা উহার উত্তরাধিকারী জেলা পরিষদের ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং |
উহার দ্বারা বা উহার সহিত সমঙাদিত চুক্তি বলিয়া গণ্য হইবে; |
(ঙ) |
পঞ্ঝর্বতন জেলা পরিষদ কর্তৃক প্রণীত সকল বাজেট, প্রকল্প ও পরিকল্পনা বা তৎকর্তৃক কৃত মঞ্ঝল্যায়ন ও |
নির্ধারিত কর, এই আইনের বিধানাবলীর সহিত সামঞ্জস্যপঞ্ঝর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, রহিত ও সংশোধিত |
না হওয়া পর্যমন, বলবৎ থাকিবে এবং উহার উত্তরাধিকারী জেলা পরিষদ কর্তৃক এই আইনের অধীন |
প্রণীত, কৃত বা নির্ধারিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; |
(চ) |
পঞ্ঝর্বতন জেলা পরিষদের প্রাপ্য সকল কর, রেইট, টোল, ফিস এবং অন্যান্য অর্থ এই আইনের অধীন |
উহার উত্তরাধিকারী জেলা পষিদের প্রাপ্য বলিয়া গণ্য হইবে; |
(ছ) |
উক্ত আইন রহিত হইবার পঞ্ঝর্বে পঞ্ঝর্বতন জেলা পরিষদ কর্তৃক আরোপিত সকল কর, রেইট, টোল ও |
ফিস এবং অন্যান্য দাবী উহার উত্তরাধিকারী জেলা পরিষদ কর্তৃক পরিবর্তিত না হওয়া পর্যমন একই |
হারে অব্যাহত থাকিবে; |
(জ) |
পঞ্ঝর্বতন জেলা পরিষদের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী উহার উত্তরাধিকারী জেলা পরিষদে বদলী |
হইবেন ও উহার কর্মকর্তা ও কর্মচারী হইবেন এবং তাঁহার উক্তরূপ বদলীর পঞ্ঝর্বে যে শর্তে চাকুরীরত |
ছিলেন, উত্তরাধিকারী জেলা পরিষদ কর্তৃক পরিবর্তিত না হইলে, সেই শর্তেই তাঁহারা উহার অধনি |
চাকুরীরত থাকিবেন; |
(ঝ) |
পঞ্ঝর্বতন জেলা পষিদ কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত যে সকল মামলা মোকদ্দমা চালু ছিল সেই |
সকল মামলা মোকদ্দমা উহার উত্তরাধিকারী জেলা পরিষদ কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েকৃত বলিয়া |
গণ্য হইবে। |
৮৪। অসুবিধা দন্ঠরীকরণ।-- এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা দেখা দিলে সরকার উক্ত |
অসুবিধা দঞ্ঝরীকরণার্থ, আদেশ দ্বারা, প্রয়োজনীয় যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে। |
প্রথম তফসিল |
প্রথম অংশ |
বাধ্যতামঞ্ঝলক কার্যাবলী |
[ |
ধারা ২৭(২) দ্রষ্টব্য |
] |
১। |
জেলার সকল উন্নয়ন কার্যক্রমের পর্যালোচনা। |
২। |
উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভা কর্তৃক গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পসমঞ্ঝহের বাসনবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা। |
৩। |
সাধারণ পাঠাগারের ব্যবস্থা ও উহার রক্ষণাবেক্ষণ। |
৪। |
উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা বা সরকার কর্তৃক সংরক্ষিত নহে এই প্রকার জনপথ, কালভার্ট ও ব্রীজ এর নির্মাণ, |
রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নয়ন। |
৫। |
রাসনার পার্শ্বে ও জনসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে বৃক্ষরোপণ ও উহার সংরক্ষণ। |
৬। |
জনসাধারণের ব্যবহারার্থে উদ্যান, খেলার মাঠ ও উন্মুক্ত স্থানের ব্যবস্থা ও উহাদের রক্ষণাবেক্ষণ। |
৭। |
সরকারী, উপজেলা পরিষদ বা পৌরসভার রক্ষণাবেক্ষণে নহে এমন খেয়াঘাটের ব্যবস্থাপনা ও নিযমল্গণ। |
৮। |
সরাইখানা, ডাকবাংলা এবং বিশ্রামাগারের ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ। |
৯। |
জেলা পরিষদের অনুরূপ কার্যাবলী সমঙাদনরত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সংগে সহযোগিতা। |
১০। |
উপজেলা ও পৌরসভাকে সহায়তা, সহযোগিতা এবং উৎসাহ প্রদান। |
১১। |
সরকার কর্তৃক জেলা পরিষদের উপর অর্পিত উন্নয়ন পরিকল্পনার বাসনবায়ন। |
১২। |
সরকার কর্তৃক আরোপিত অন্যান্য কাজ। |
দ্বিতীয় অংশ |
ঐচ্ছিক কার্যাবলী |
[ |
ধারা ২৭(৩) দ্রষ্টব্য |
] |
(ক) শিক্ষা |
১। |
বিদ্যালয় স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ। |
২। |
ছাত্রাবাসের জন্য দালান নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ। |
৩। |
ছাত্র বৃত্তির ব্যবস্থা। |
৪। শিক্ষক প্রশিক্ষণ। |
৫। |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্থ মঞ্জুরী প্রদান। |
৬। |
শিক্ষামঞ্ঝলক জরিপ গ্রহণ, শিক্ষা পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং উহার বাসনবায়ন। |
৭। |
শিক্ষা উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত সমিতিসমঞ্ঝহের উন্নয়ন ও সাহায্য। |
৮। |
উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা উন্নয়ন। |
৯। |
স্কুলের শিশু-ছাত্রদের জন্য দুগ্ধ সরবরাহ ও খাদ্যের ব্যবস্থা। |
১০। |
বই প্রকাশনা ও ছাপাখানা বেক্ষণাবেক্ষণ। |
১১। |
এতিম ও দুঃস্থ ছাত্রদের জন্য বিনা মঞ্ঝল্যে অথবা কম মঞ্ঝল্যে পাঠ্য পুসনকের ব্যবস্থা। |
১২। |
স্কুলের বই এবং ষ্টেশনারী মাল বিক্রয় কেন্দ্র রক্ষণাবেক্ষণ। |
১৩। |
শিক্ষার উন্নয়নের সহায়ক অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ। |
(খ) সংস্কূতি |
১৪। |
তথ্যকেন্দ্র স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ। |
১৫। |
সাধারণ সাংস্কৃতিমঞ্ঝলক কর্মকান্ড সংগঠন। |
১৬। |
জনসাধারণের জন্য ক্রীড়া ও খেলাধুলা উন্নয়ন। |
১৭। |
সরকারী প্রতিষ্ঠান এবং জনসাধারণের ব্যবহার্য মহানে রেডিও ও টেলিভিশন এর ব্যবমহা ও রক্ষণাবেক্ষণ। |
১৮। |
যাদুঘর ও আর্ট-গ্যালারি স্থাপন ও প্রদর্শনীর সংগঠন। |
১৯। |
পাবলিক হল, কমিউনিটি সেন্টার প্রতিষ্ঠান এবং জনসভার জন্য স্থানের ব্যবস্থা। |
২০। |
নাগরিক শিক্ষার প্রসার এবং স্থানীয় সরকার, পলxী উন্নয়ন ও পুনর্গঠন, স্বাস্থ্য, সমাজ উন্নয়ন, কৃষি শিক্ষা, গবাদি পশু |
প্রজনন সমঙর্কিত এবং জনস্বার্থ সমঙর্কিত অন্যান্য বিষয়ের উপর তথ্য প্রচার। |
২১। |
মহানবী (সঃ) এর জন্মদিবস, জাতীয় দিবস, জাতীয় শোক দিবস, শহীদ দিবস ও অন্যান্য জাতীয় অনুষ্ঠান উদ্যাপন। |
২২। |
বিশিষ্ট অতিথিগণের অভ্যর্থনা। |
২৩। |
শরীর চ্চর্চার উন্নয়ন, খেলাধুলায় উৎসাহ দান এবং সমাবেশ ও প্রতিযোগিতামঞ্ঝলক ক্রীড়া ও খেলাধুলার ব্যবস্থা করা। |
২৪। |
স্থানীয় এলাকার ঐতিহাসিক এবং আদি বৈশিষ্ট্যসমঞ্ঝহ সংরক্ষণ। |
২৫। |
সংস্কৃতি উন্নয়নমঞ্ঝলক অন্যান্য ব্যবস্থা। |
গ) |
ঘ) |
ঙ) |
সমাজ কল্যাণ |
২৬। |
দুঃস্থ ব্যক্তিদের জন্য কল্যাণ সদন, আশ্রয় সদন, এতিমখানা, বিধবা সদন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও |
রক্ষণাবেক্ষণ। |
২৭। |
মৃত নিঃস্ব ব্যক্তিদের দাফনের ও অমেনাষ্টিক্রিয়ার ব্যবস্থা করা। |
২৮। |
ভিক্ষাবৃত্তি, পতিতাবৃত্তি, জুয়া, মাদকদ্রব্য সেবন, মদ্যপান, কিশোর অপারধ এবং অন্যান্য সামাজিক অনাচার প্রতিরোধ। |
২৯। |
জনগণের মধ্যে সামাজিক, নাগরিক এবং দেশপ্রেমমঞ্ঝলক গুণাবলী উন্নয়ন এবং গৌত্র বা গোষ্ঠিগত, বর্ণগত এবং |
সমঙ্রদায়গত কুসংস্কার নিরুৎসাহিত করা। |
৩০। |
সমাজ সেবার জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের সংগঠিত করণ। |
৩১। |
দরিদ্রদের জন্য আইনগত সহায়তা ()। |
৩২। |
নারী ও পশ্চাদপদ শ্রেণীর পরিবারের সদস্যদের কল্যাণমঞ্ঝলক কার্যক্রম গ্রহণ। |
৩৩। |
সালিশী ও আপোষের মাধ্যমে বিরোধ নিসঙত্তির ব্যবস্থা গ্রহণ। |
৩৪। |
সমাজকল্যাণ ও সমাজ উন্নয়নমঞ্ঝলক অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ। |
অর্থনৈতিক কল্যাণ |
৩৫। |
আদর্শ কৃষিখামার স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ। |
৩৬। |
উন্নত কৃষি পদ্ধতি জনপ্রিয়করণ, উন্নত কৃষি যমল্গপাতির সংরক্ষণ ও কৃষকগণকে উক্ত যমল্গপাতি ধারে প্রদান এবং পতিত |
জমি চাষের জন্য ব্যবস্থা গ্রহর। |
৩৭। |
শস্য পরিসংখ্যান সংরক্ষণ, ফসলের নিরাপত্তা বিধান, বপনের উদ্দেশ্যে বীজের ঋণদান, রাসায়নিক সার বিতরণ এবং |
উহার ব্যবহার জনপ্রিয়করণ এবং পশু খাদ্যের মওজুদ গড়িয়া তোলা। |
৩৮। |
কৃষি ঋণ প্রদান ও কৃষি শিক্ষার উন্নয়ন এবং কৃষি উন্নয়নমঞ্ঝলক অন্যান্য ব্যবস্খা গ্রহণ। |
৩৯। |
বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত এবং কৃষি কাজে ব্যবহার্য পানি সরবরাহ, জমানো ও নিয়মল্গণ। |
৪০। |
গ্রামাঞ্চলে বনভূমি সংরক্ষণ। |
৪১। |
ভূমি সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার এবং জলাভূমির পানি নিস্কাশন। |
৪২। |
বাজার স্থাপন, নিয়মল্গণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ। |
৪৩। |
গ্রামাঞ্চলের শিল্পসমঞ্ঝহের জন্য কাঁচামাল সংগ্রহ এবং উৎপাদিত সামগ্রির বাজারজাত করণের ব্যবস্থা। |
৪৪। |
শিল্প-স্কুল স্থাপন, সংরক্ষণ এবং গ্রামভিত্তিক শিল্পের জন্য শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ প্রদান। |
৪৫। |
গ্রাম্য বিপণী স্থাপন ও সংরক্ষণ। |
৪৬। |
সমবায় আন্দোলন জনপ্রিয়করণ ও সমবায় শিক্ষার উন্নতি সাধন। |
৪৭। |
অর্থনৈতিক কল্যাণের জন্য অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ। |
জনস্বাস্থ্য |
৪৮। |
জনস্বাস্থ্য বিষয়ক শিক্ষার উন্নয়ন। |
৪৯। |
ম্যালেরিয়া ও সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধ ও নিয়মল্গণের জন্য প্রকল্প প্রণয়ন ও বাসনবায়ন। |
৫০। |
প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ। |
৫১। |
ভ্রাম্যমান চিকিৎসক দল গঠন। |
৫২। চিকিৎসা সাহায্য প্রদানের জন্য সমিতি গঠনে উৎসাহ দান। |
৫৩। |
চিকিৎসা-শিক্ষার উন্নয়ন এবং চিকিৎসা সাহায্যদানকারী প্রতিষ্ঠানসমঞ্ঝহে অর্থ মঞ্জুরী প্রদান। |
৫৪। |
কমঙউন্ডার, নার্স এবং অন্যান্য চিকিৎসা কর্মীদের কাজ ও ডেসপেনসারী পরিদর্শন। |
৫৫। |
ইউনানী, আয়ুর্বেদীয় ও হোমিওপ্যাথিক ডিসপেনসারী প্রতিষ্ঠা, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিদর্শন। |
৫৬। |
স্বাস্থ্য কেন্দ্র, মাতৃসদন ও শিশু মংগল কেন্দ্র স্থাপন, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিদর্শন, ধাত্রীদের প্রশিক্ষণ দান এবং মাতা ও |
শিশুদের কল্যাণের জন্য অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ। |
৫৭। |
পশু-পাখীর ব্যাধি দঞ্ঝরীকরণ এবং পশু-পাখীদের মধ্যে ছোঁয়াচে রোগের প্রতিরোধ ও নিয়মল্গণ। |
৫৮। |
গবাদি পশু সমঙদ সংরক্ষণ। |
৫৯। |
চারণভূমির ব্যবস্থা ও উন্নয়ন। |
৬০। |
দুগ্ধ সরবরাহ নিয়মল্গণ, দুগ্ধপলxী স্থাপন এবং স্বাস্থ্যসম্মত আসনাবলের ব্যবস্থা ও নিয়মল্গণ। |
৬১। |
গবাদি খামার ও দুগ্ধ খামার স্থাপন ও সংরক্ষণ। |
৬২। |
হাঁস মুরগীর খামার স্থাপন ও সংরক্ষণ। |
৬৩। |
জনস্বাস্থ্য, পশুপালন ও পাখী কল্যাণ উন্নয়নের জন্য অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ। |
চ) |
ছ) |
গণপন্ঠর্ত |
৬৪। |
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি সাধন। |
৬৫। |
পানি নিস্কাশন পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, ভূ-উপরিস্থ সুপেয় পানির জলাশয় সংরক্ষণ, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, রাসনা পাককরণ |
ও অন্যান্য জনহিতকর অত্যাবশ্যকীয় কাজ করা। |
৬৬। |
স্থানীয় এলাকার নক্শা প্রণয়ন। |
৬৭। |
এই আইন বা অন্য কোন আইনের অধীনে ন্যসন কোন দায়িত্ব পালনের জন্য প্রয়োজনীয় অথচ এই আইনের অন্যত্র |
উলেখে নাই এমন জনকল্যাণমঞ্ঝলক অত্যাবশ্যকীয় কাজের নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনা। |
সাধারণ |
৬৮। |
স্থানীয় এলাকা ও উহার অধিবাসীদের ধর্মীয়, নৈতিক ও বৈষয়িক উন্নতি সাধনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ। |
দ্বিতীয় তফসিল |
(জেলা পরিষদ কর্তৃক আরোপনীয় কর, রেইট, টোল এবং ফি) |
[ |
ধারা ৫১ দ্রষ্টব্য |
] |
১। |
স্থাবর সমঙত্তি হসনামনরের উপর ধার্য করের অংশ। |
২। |
বিজ্ঞাপনের উপর কর। |
৩। |
পরিষদের রক্ষণাবেক্ষণাধীন রাসনা, পুল ও ফেরীর উপর টোল। |
৪। |
পরিষদ কর্তৃক জনকল্যাণমঞ্ঝলক কাজ সমঙাদনের জন্য রেইট। |
৫। |
পরিষদ কর্তৃকব স্থাপিত বা পরিচালিত স্কুলের ফিস। |
৬। |
পরিষদ কর্তৃক কৃত জনকল্যাণমঞ্ঝলক কাজ হইতে প্রাপ্ত উপকার গ্রহণের জন্য ফিস। |
৭। |
পরিষদ কর্তৃক কৃত কোন বিশেষ সেবার জন্য ফিস। |
৮। |
সরকার কর্তৃক পরিষদকে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আরোপিত কোন কর। |
তৃতীয় তফসিল |
(এই আইনের অধীন অপরাধসমঞ্ঝহ) |
[ |
ধারা ৫১ দ্রষ্টব্য |
] |
১। |
পরিষদ কর্তৃক আইনানুগভাবে ধার্যকৃত কর, টোল, রেইট ও ফিস ফাঁকি দেওয়া। |
২। |
এই আইন, বিধি বা প্রবিধানের অধীন যে সকল বিষয়ে পরিষদ কোন তথ্য চাহিতে পারে সেই সকল বিষয়ে পরিষদের |
তলব অনুযায়ী তথ্য সরবরাহে ব্যর্থতা বা ভূল তথ্য সরবরাহ। |
৩। |
এই আইন, বিধি বা প্রবিধানের বিধান অনুযায়ী যে কার্যের জন্য লাইসেন্স বা অনুমতি প্রয়োজন হয় সে কার্য বিনা |
লাইসেন্স বা বিনা অনুমতিতে সমঙাদন। |
৪। |
পরিষদের অনুমোদন ব্যাতিরেকে সর্ব সাধারণের ব্যবহার্য কোন জনপথে অবৈধ অনুপ্রবেশ। |
৫। |
পানীয় জল দঞ্ঝষিত বা ব্যবহারের অনুপযোগী হয় এমন কোন কাজ করা। |
৬। |
জনস্বাস্থ্যের পক্ষে পিজজনক হওয়ার সন্দেহে এই আইনের অধীন কোন উৎস হইতে পানি পান করা নিষিদ্ধ হওয়া |
সত্বেও ঐ উৎস হইতে পানি পান করা। |
৭। |
জনসাধারণের ব্যবহার্য কোন পানীয় জলের উৎসের সন্নিকটে গবাধিপশু বা জীবজন্তুকে পানি পান করানো, পায়খানা |
প্রস্রাব করানো বা গোসল করানো। |
৮। |
আবাসিক এলাকা হইতে এই আইনের অধীন নির্ধারিত দুরত্বের মম্যে অবস্থিত কোন পুকুরে বা ডোবায় অথবা উহার |
সন্নিকটে শন, পাট বা অন্য গাছপালা ডুবাইয়া রাখা। |
৯। |
আবাসিক এলাকা হইতে এই আইনের অধীন নির্ধারিত দুরত্বের মধ্যে চামড়া রং করা বা পাকা করা। |
১০। |
আবাসিক এলাকা হইতে এই আইনের অধীনে নির্ধারিত দুরত্বের মধ্যে মাটি খনন, পাথর বা অন্য কিছু খনন করা। |
১১। |
আবাসিক এলাকা হইতে পরিষদ কর্তৃক নিষিদ্ধ দুরত্বের মধ্যে ইটের ভাটি, চূণ ভাটি, কাঠ-কয়লা ভাটি ও মৃৎ শিল্প |
স্থাপন। |
১২। |
আবাসিক এলাকা হইতে পরিষদ কর্তৃক নিষিদ্ধ দুরত্বের মধ্যে মৃত জীবজন্তুর দেহাবশেষ ফেলা। |
১৩। |
এই আইনের অধীন নির্দেশিত হওয়া সত্বেও, কোন জমি বা ইমারত হইতে আবর্জনা, জীবযন্তুর বিষ্টা, সার অথবা |
দুর্গন্ধযুক্ত অন্য কোন পদার্থ অপসারণে ব্যর্থতা। |
১৪। |
এই আইনের অধীনে নির্দেশিত হওয়া সত্বেও কোন শৌচাগার, প্রস্রাবখানা, নর্দমা, মুলকুন্ড, পানি, আবর্জনা অথবা বর্জ্য |
পদার্থ রাখিবার জন্য অন্যান্য স্থান বা পাত্র আচ্ছাদনে, অপসারণে, মেরামতে, পরিস্কার করিতে, জীবাণুমুক্ত করিতে |
অথবা যথাযথভাবে রক্ষণ করিতে ব্যর্থতা। |
১৫। |
এই আইনের অধীনে কোন আগাছা, ঝোপছাড় বা লতাগুল্ম জনস্বাস্থ্যের বা পরিবেশের জন্য প্রতিকুল ঘোষণা করা সত্বেও |
উহা অপসারণ বা পরিস্কার করিতে সংশিষ্টে জমির মাললেকর বা দখলদারের ব্যর্থতা। |
১৬। জনপথ সংলগককোন স্থানে জন্মানো কোন আগাছা, লতাগুল্ম বা গাছপালা জনপথের উপর ঝুলিয়া পড়িয়া অথবা |
জনসাধারণের ব্যবহার্য পানির কোন পুকুর, কুয়া বা অন্য কোন উৎসের উপর ঝুলিয়া পড়িয়া চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি করা |
সত্বেও বা পানি দঞ্ঝষিত করা সত্বেও অথবা উহা এই আইনের অধীনে জনস্বাস্থ্য হানিকর বলিয়া ঘোষিত হওয়া সত্বেও |
সংশিষ্টে স্থানের মালিক বা দখলদার কর্তৃক উহা কাটিয়া ফেলিতে, অপসারণ করিতে বা ছাটিয়া ফেলতে ব্যর্থতা। |
১৭। |
এই আইনের অধীন জনস্বাস্থ্যের জন্য বা পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ক্ষতিকর বলিয়া ঘোষিত কোন শস্যের চাষ করা, সার |
প্রয়োগ করা বা ক্ষতিকর বলিয়া ঘোষিত পন্থায় জমিতে সেচের ব্যবস্থা করা। |
১৮। |
এই আইনের বিধান অনুসারে প্রয়োজনীয় অনুমতি ব্যতিরেকে ইচ্ছকৃতভাবে অথবা অহবেলাভরে পায়খানার গর্ত বা |
পায়খানার নালা হইতে মলমৃত্র বা অন্য কোন ক্ষতিকর পদার্ল কোন জনপথ বা জনসাধারণের কোন স্থানের উপর |
ছড়াইয়া পড়িতে বা গড়াইয়া যাইতে দেওয়া বা এতদ্দুদ্দেশ্যে ব্যবহৃত নয় এই প্রকার কোন নর্দমা, খাল বা পযঃ |
প্রণালীর উপর পতিত হইতে দেওয়া। |
১৯। |
এই আইনের অধীন জনস্বাস্থ্যের জন্য বা পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ক্ষতিকর বলিয়া ঘোষিত কোন কুপ, পুকুর বা পানি |
সরবাহের অন্য কোন উৎস পরিস্কার করিতে, মেরামত করিতে, আচ্ছাদান করিতে বা ভরাট করিতে বা উহা হইতে পানি |
নিস্কাশন করিতে উহার মালিক বা দখলকারের ব্যর্থতা। |
২০। |
এই আইনের বিধান অনুযায়ী নির্দেশিত হইয়া কোন জমি বা দালান হইতে কোন পানি বা আবর্জনা নিস্কাশনের জন্য |
যথোযুক্ত পাইপ বা নর্দমার ব্যবস্থা করিতে জমি বা দালানের মালিক বা দখলদারের ব্যর্থতা। |
২১। |
চিকিৎসক হিসেবে কর্তব্যরত থাকাকালে সংক্রামক রোগের অসিনত্ব সমঙর্কে অবগত হওয়া সত্বেও পরিষদের নিকট |
তৎসমঙর্কে রিপোর্ট করিতে কোন চিকিৎসকের ব্যর্থতা। |
২২। |
কোন দালানে সংক্রামক রোগের অসিনত্ব সমঙর্কে জানা সত্বেও তৎসমঙর্কে কোন ব্যক্তির পরিষদকে খবর দিতে ব্যর্থতা। |
২৩। |
সংক্রামক রোগজীবাণু দ্বারা আক্রামন কোন দালানকে রোগজীবাণু মুক্ত করিতে উহার মালিক বা দখলদারের ব্যর্থতা। |
২৪। |
সংক্রামক ব্যাধির আক্রামন ব্যক্তি কর্তৃক খাদ্য বা পানীয় বিক্রয়। |
২৫। |
রোগজীবাণু দ্বারা অক্রামন কোন যানবাহনের মালিক বা চালক কর্তৃক উহাকে রোগজীবাণুমুক্ত করিতে ব্যর্থতা। |
২৬। |
দুগ্ধের জন্য বা খাদ্যের জন্য রক্ষিত কোন প্রাণীকে ক্ষীতকর কোন দ্রব্য খাওয়ানো বা খাওয়ার সুযোগ দেওয়া। |
২৭। |
এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত স্থান ব্যতিরেকে অন্য কোন স্থানে মাংস বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে কোন প্রাণী জবাই করা। |
২৮। |
ক্রেতার চাহিদা মোতাবেক খাদ্য বা পানীয় সরবরাহ না করিয়া নিম্ন বা ভিন্ন মানের খাদ্য বা পানীয় সরবরাহ করিয়া |
ক্রেতাকে ঠকানো। |
২৯। |
ভিক্ষার জন্য বিরক্তিকর কাকুতি মিনতি করা বা শরীরের কোন বিকৃত বা গলিত অংগ বা নোংরা ক্ষতস্থান প্রদর্শন করা। |
৩০। |
পতিতালয় স্থাপন বা পতিতা বৃত্তি পরিচালনা করা। |
৩১। |
কোন বৃক্ষ বা উহার শাখা কর্তৃন, বা কোন দালান বা উহার কোন অংশ নির্মাণ বা ভাংচুর এই আইনের অধীনে |
জনসাধারণের জন্য বিপদজনক বা বিরক্তিকর বলিয়া ঘোষণা করা সত্বেও উহার কর্তন, নির্মাণ বা ভাংচুর। |
৩২। |
পরিষদের অনুমোদন ব্যতিরেকে পরিষদের ভূমিতে বা আওতাধীন এলাকায় কোন রাসনা নির্মাণ। |
৩৩। |
এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত কোন স্থান ব্যতীত অন্য কোন স্থানে কোন বিজ্ঞাপন, নোটিশ, পvাকার্ড বা অন্য কোনবিধ প্রচারপত্র |
আটিয়া দেওয়া। |
৩৪। |
এই আইনের অধীনে বিপজ্জনক বলিয়া ঘোষিত পদ্ধতিতে কাঠ, ঘাস, খড় বা অন্য কোন দাহ্য বস্ত্ত সনপিকৃত করা। |
৩৫। |
এই আইনের অধীনে প্রয়োজনীয় অনুমতি ব্যতিরেকে কোন রাসনার উপরে পিকেটিং করা, জীবযন্তু রাখা, যানবাহন জমা |
করিয়া রাখা, অথবা কোন রাসনাকে যানবাহন বা জীবজন্তুকে থামাইবার স্থান হিসাবে অথবা তাঁবু খাটাইবার স্থান হিসাবে |
ব্যবহার করা। |
৩৬। |
গৃহপালিত জীবজন্তুকে ইতসনতঃ ঘুরিয়া বেড়াইতে দেওয়া। |
৩৭। |
আগ্নেয়াসল্গ, পটকা বা আতষবাজী এমনভাবে ছোঁড়া অথবা উহাদের লইয়া এমনভাবে খেলায় বা শিকারে রত হওয়া |
যাহাতে পথচারী বা পার্শ্ববর্তী এলাকায় বসবাসকারী বা কর্মরত লোকজনের বা কোন সমঙত্তির বিপদ বা ক্ষতি হয় বা |
হইবার সম্ভাবনা থাকে। |
৩৮। |
পথচারীদের বা পার্শ্ববর্তী এলাকায় বসবাসকারী বা কর্মরত লোকজনের বিপদ হয় বা বিপদ হইবার সম্ভাবনা থাকে |
এমনভাবে গাছ কাটা, দালান কোঠা নির্মাণ বা খনন কাজ পরিচালনা করা অথবা বিস্ফোরণ ঘটানো। |
৩৯। |
এই আইনের অধীনে প্রয়োজনীয় অনুমতি ব্যতিরেকে স্বীকৃত গোরস্থান বা শ্মশান ছাড়া অন্য কোথাও লাশ দাফন করা, |
শবদাহ করা। |
৪০। |
হিংস্র কুকুর বা অন্য কোন ভয়ংকর প্রাণীকে নিয়মল্গণবিহীনভাবে ছাড়িয়ে দেওয়া বা লেলাইয়া দেওয়া। |
৪১। |
এই আইনের অধীনে বিপদজনক বলিয়া ঘোষিত কোন দালানকে ভাংগিয়া ফেলিতে বা উহাকে মজবুত করিতে ব্যর্থতা। |
৪২। |
এই আইনের অধীনে মনুষা-বসবাসের অনুপযোগী বলিয়া ঘোষিত দালান কোঠা বসবাসের জন্য ব্যবহার করা বা |
কাহাকেও উহাতে বসবাস করিতে দেওয়া। |
৪৩। |
এই আইনের বিধান মোতাবেক কোন দালান চুণকাম বা মেরামত করিবার প্রয়োজন হইলে তাহা করিতে ব্যর্থতা। |
৪৪। |
বিধি দ্বারা অপরাধ বলিয়া ঘোষিত কোন কাজ করা। |
৪৫। |
এই আইন বা কোন বিধি বা তদধীনে প্রদত্ত কোন আদেশ, নির্দেশ বা ঘোষণা বা জারীকৃত কোন বিজ্ঞপ্তির খেলাপ। |
৪৬। |
এই তফসিলে উলেখখিত অপরাধসমঞ্ঝহ সংঘটনের চেষ্টা বা সহায়তা করা। |
কাজী মুহম্মদ মনজুরে মওলা |
সচিব। |